Fri. Mar 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

1kখন্দকার শাহিন, খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০১৬ :  আজকে আমরা যেসব প্রযুক্তি বা বিজ্ঞানের আশীর্বাদ ব্যবহার করছি, সেসব কিন্তু একদিনে হয়নি। অনেক সময় নিয়ে গবেষকদের অনেক পরিশ্রমের পর আজকের এসব প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে। এসব প্রযুক্তি বা আবিষ্কারের সুবিধা এখন ভোগ করছি আমরা।

কিন্তু যাঁরা এসব প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছিলেন, তাঁদের সম্পর্কেও আমাদের জানা দরকার। তো বলতে পারো কম্পিউটার প্রথম কে আবিষ্কার করেছিলেন? চলো অল্প সময়ে জেনে নিই কয়েকজন বিজ্ঞানী ও তাঁদের আবিষ্কৃত প্রযুক্তি সম্পর্কে, যা জানা থাকলে বন্ধুদের জানিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে পারবে।

বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন থমাস এডিসন
এটা অনেকেরই জানার কথা। আজকের দিনে বিদ্যুৎ ছাড়া তো এক মুহূর্তও থাকা সম্ভব না আমাদের পক্ষে। কিন্তু একসময় কিন্তু বিদ্যুতের ব্যবহার মানুষ জানতই না, কারণ তখন বিদ্যুৎ ছিলই না। বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন থমাস আলভা এডিসন। এই অসম্ভব মেধাবী বিজ্ঞানী প্রায় এক হাজার নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছিলেন। এর মধ্যে ইলেকট্রিক বাল্ব, ফোনোগ্রাফ এবং মোশন পিকচার ক্যামেরা অন্যতম।

বিমান আবিষ্কার করেছিলেন রাইট ব্রাদার্স
একসময় আকাশে উড়ে বেড়ানোটা মানুষের কাছে ছিল অসাধ্য। তবে সেই অসাধ্য সাধন করেছিলেন দুই ভাই। তাঁদের ডাকা হয় ‘রাইট ব্রাদার্স’ নামে। এই দুই ভাইয়ের নাম অরভিল রাইট এবং উইলবুর রাইট। ১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর মানুষশুদ্ধ বিমান আকাশে উড়িয়েছিলেন তাঁরা।

কম্পিউটার আবিষ্কার করেছিলেন চার্লস ব্যাবেজ
আজকে আমরা যেসব কম্পিউটার ব্যবহার করি, তা ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছে। তবে কম্পিউটার তৈরির প্রথম ধারণা দেন বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ। তিনিই প্রথম মেকানিক্যাল কম্পিউটার তৈরি করেছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁর তৈরি নকশা ও কম্পিউটারের ওপর ভিত্তি করেই আজকের আধুনিক কম্পিউটার তৈরি করা হয়। চার্লস ব্যাবেজকে তাই বলা হয় কম্পিউটারের জনক।

টেলিফোন আবিষ্কার করেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল
প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। নিজের তৈরি এই যন্ত্র দিয়ে দূরে থাকা মানুষের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন তিনি।

টেলিস্কোপ আবিষ্কার করেন গ্যালিলিও
বিজ্ঞানী গ্যালিলিও আবিষ্কার করেছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী টেলিস্কোপ। এ ছাড়া দিক নির্ণয়ের জন্য উন্নত মানের কম্পাসও আবিষ্কার করেছিলেন তিনি।

দূরবীক্ষণ যন্ত্র নির্মাণ করেন গ্যালিলিও
১৬০৯ সালে গ্যালিলিও স্বাধীনভাবে উন্নত ধরনের দূরবীক্ষণ যন্ত্র নির্মাণ করেন এবং এই যন্ত্রকে জ্যোতির্বিদ্যায় সার্থকভাবে প্রয়োগ করেন। এর আগে ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে ওলন্দাজ চশমা নির্মাতা লিপেরশাইম তার নির্মিত এক দূরবীক্ষণ যন্ত্রের কথা প্রকাশ করেন এবং সেই বছরেই এই অদ্ভুত কাচ নির্মিত যন্ত্রের কথা গ্যালিলিওর কাছে পৌঁছে। এ খবর পাওয়া মাত্র তিনি নিজে কিভাবে এরকম একটি যন্ত্র নির্মাণ করবেন- তা নিয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। শিগগিরই দূরবীক্ষণ যন্ত্রের নানা উন্নতি সাধন করে গ্যালিলিও দূরবর্তী বস্তুকে অন্তত ৩০ গুণ বড় করে দেখার ব্যবস্থা করেন।