Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

5kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬ : বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটির শক্তি কমে গিয়েছে। গতকাল থেকে গভীর নিম্নচাপটির একটুও শক্তি বাড়েনি। বরং গতি বেশি থাকায় নিম্নচাপটি কিছুটা ভারতের অন্ধ্র উপকূলের কাছে চলে গেছে। যে কোনও নিম্নচাপই উপকূলের কাছে এলে তার শক্তি কমতে শুরু করে। এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এদিকে নিম্নচাপটিটি আদৌ ঘূর্ণিঝড় ‘নাডা’য় পরিণত হবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা জানান, বায়ুপ্রবাহের দিক বদলে গভীর নিম্নচাপটি যদি ফের উপকূল থেকে অনেকটা দূরে গেলে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। এটা না হলে গভীর নিম্নচাপটি থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হলে গতিপথ একই থাকবে। পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে এসে সেটি বাঁক খেয়ে চলে আসবে চট্টগ্রামের দিকে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হওয়ায় বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ কম হবে। এর ফলে কমে যাবে বিপদের আশঙ্কাও।
আবহাওয়াবিদেরা জানান, শনিবার গভীর নিম্নচাপটি সামান্য শক্তিবৃদ্ধি করে অতিগভীর নিম্নচাপ হিসেবে বাংলাদেশ দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকতে পারে। কিন্তু সেখানেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অনেক কম।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটারে যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।