নাসিরনগরে হিন্দু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) বীরবীক্রম।
তিনি বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে শুক্রবার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহমর্মিতা জানাতে আমরা গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে ধ্বংসলীলা দেখে আমরা মর্মাহত। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। নির্বাচনের নামে প্রহসনের মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের কাছে দেশের হিন্দু-মুসলমান কেউই নিরাপদ নয়। তাদের কাছে কারো জীবনের মূল্য নেই। তাই জনগণের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।”
মেজর হাফিজ আরো বলেন, “দলীয় কর্মীদের বহিষ্কারের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দল এ ঘটনায় জড়িতদের স্বরূপ উন্মোচন করেছে। এরপরও বিষয়টি আরো পরিষ্কার করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি। নাসিরনগরে মন্দিরে হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত। দলটি হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করে রেখেছে। আমরা চাই, যারা হিন্দুদের সম্পতি দখল করেছে, একটি তালিকা করে তাদের বিচার করা হোক।”
তিনি বলেন, “আজ দেশের আবহাওয়া খারাপ। তিন নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। আওয়ামী লীগ নেতারা হয়তো বলবেন, এজন্য বিএনপি দায়ী। আরো বলতে পারেন, এজন্য জিয়াউর রহমান দায়ী। তিনি বলে গেছেন, ২০১৬ সালে আবহাওয়া খারাপ করতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতাদের এ রকম হাস্যকর কথা কেউ বিশ্বাস করে না।”
উল্লেখ্য, ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবির মাধ্যমে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে নাসিরনগরে ৩০ অক্টোবর ১৫টি মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। এরপর শুক্রবার ভোরে আরেক দফা হামলা হয় হিন্দুপল্লীতে। পুড়িয়ে দেয়া হয় পাঁচটি বসতবাড়ি।
বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল আউয়াল খান, সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাহিমা মুন্নী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ।