Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

30খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬ : রাজশাহী : রাজশাহী মহানগরীর সেখেরচক বিহারীবাগান এলাকায় পদ্মানদীর পাড় ঘেঁষা সড়কে (ওয়াকওয়ে) ধস নেমেছিলো ৩০ অক্টোবর। প্রায় ২০০ মিটার সড়কের পাঁচফুটের মতো দেবে গিয়েছিলো। সেই ধস ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় ধসে পড়েছে দুইটি বাড়ি। আরো ৫টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে আতঙ্ক আরো চরমে উঠেছে। ওই এলাকায় অটোচালক আলমগীর ও নৈশপ্রহরী ইদ্রিস আলীর বাড়ির কিছু অংশ ধসে পড়েছে। আরো কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর আগে ৩০ অক্টোবর ওই এলাকায় হঠাৎ ধস দেখা যায়। প্রায় ২০০ মিটার সড়কে ধস নেমে মূল সড়ক থেকে প্রায় পাঁচ ফুট নিচু হয়ে দেবে গেছে। সড়কের পাশের টাইলস বসানো ফুটপাত এবং মাটিতেও দেখা দিয়েছে ফাটল। ধসের কারণে কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়েছে। দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে সড়কের দুই পাশে বাঁশ দিয়ে বেঁধে দিয়েছেন। ওই এলাকায় আলাল নামে এক ব্যক্তি জানান, প্রতিদিন একটু করে ধসের পরিমান বাড়ছে। প্রথমে রাস্তা দেবে গেলেও এখন আশেপাশের ২০টির বেশি বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। শহর রক্ষা বাধের আরসিসি ব্লকেও ধস নেমেছে। ওই এলাকার ইদ্রিস আলীর বাড়িতেও বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় বাড়ি ছেড়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। তার ছেলে কাওসার আলী (২২) জানান, গত বছরই ওই এলাকায় শহররক্ষা বাধের উপর থেকে আরসিসি ব্লক সরে গিয়েছিলো। তখন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এবারে ধস নামার পরও সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি। বাড়িঘর গুলোতে ফাটল দেখা দেয়ায় এলাকাবাসিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তবে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলছেন অন্য কথা। তারা জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার কারণে সড়কে ধস নামেনি। সড়কের নিচে থাকা আর্বজনা পচে গিয়ে ধস নামতে পারে। রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান দাবি করেন, সড়ক ধসের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশনের কোনো ত্রুটি এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বন্যার পানি বা ব্লক সরে যাওয়ার জন্য যে ত্রুটি দেখা দিতে পারে তাও পাওয়া যায়নি। ওই এলাকার ব্লকগুলো ঠিকঠাক আছে। তবে ধারণা হচ্ছে সড়কের নিচে বর্জ্য পচে ধস নেমেছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, তিন বছর আগে ওই এলাকায় সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। তখন মাটিতে কোনো সমস্যা ছিল না। রোলার দিয়ে ভালভাবে মাটি মজবুত করে তারপর সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। নিচে আবর্জনা থাকলেও সড়ক দেবে যাওয়ার কথা না। ওই এলাকায় মাটির ইরোসনের কারণে সড়কটি দেবে যেতে পারে।