খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০১৬ : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক কোন ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন, সে বিষয়ে রুল জারির নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে হাই কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বুধবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২২ জুন থেকে তিনি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান। কিন্তু তিনি ২০১০ ও ২০১৩ সালে কমিশনের সদস্য ছিলেন।
‘মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৭’ এর ২ (এইচ) ও ৬ (৩) ধারা অনুযায়ী দুই বারের বেশি নিয়োগ হলে তা অবৈধ। কারণ কমিশন আইনের ওই দুই ধারা অনুযায়ী চেয়ারম্যানও কমিশনের সদস্য এবং চেয়ারম্যানকে প্রতিবার তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
আইনে কমিশনের চেয়ারম্যান পদে আইন বিশেষজ্ঞ কাউকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রয়েছে উল্লেখ করে রিটে বলা হয়, কমিশন আইনের ৬ (২) ধারা অনুযায়ী চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে আইনজ্ঞ হতে হবে। কিন্তু তিনি (কাজী রিয়াজুল) আইনজীবী বা বিচার বিভাগীয় পদে ছিলেন না। এ পদটি আধা-বিচার বিভাগীয়। ভারতসহ অন্যান্য দেশে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে ওই পদটি দেওয়া হয়।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, “মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের বিচারপতির সমতুল্য। সংবিধান অনুযায়ী ১০ বছর আইনজীবী অথবা বিচারক থাকা ছাড়া এই পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না।
“এসব যুক্তি দেখিয়ে গত ২৬ অক্টোবর তাকে একটি লিগ্যাল নোটিস দেওয়া হয়। সেই নোটিসের জবাব না পাওয়ায় ধরে নিয়েছি তার ওই পদে থাকার আইনগত ভিত্তি নেই। তাই সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।”
২০০৬ সালে সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়ার পর রিয়াজুল হক কিছু কাল বার কাউন্সিলের ‘লিগ্যাল এডুকেশন অ্যান্ড টেইনিং ইনস্টিটিউট’র নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আসেন মানবাধিকার কমিশনে।
চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে কয়েক বছর ধরে মানবাধিকার কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য ছিলেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারকের সমান বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য বাছাই কমিটির প্রধান হলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ওই কমিটির সুপারিশে রাষ্ট্রপতি এই কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে নিয়োগ দিয়ে থাকে।