Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

44১৮ মাসের প্রচারণা শেষে অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র পেলো তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ে বাংলাদেশে মার্কিন নীতিতে কোনও পরিবর্তন আসবে না। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও কূটনীতিকদের বিশ্লেষণে এ পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসী বাংলাদেশিদের হিস্প্যানিক জনগোষ্ঠীর প্রতি ট্রাম্পের যে অবস্থান সেই একই ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন কূটনীতিকরা।
রাজনৈতিক ময়দানে কিছুটা অপরিচিত কিন্তু সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রথম সুযোগেই হোয়াইট হাউজে যাওয়ার টিকেট পেয়ে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনি প্রচারণার সময় তার বিভিন্ন মন্তব্য এবং অতীত কার্যকলাপ বিরূপ সমালোচনার জন্ম দিলেও শেষ পর্যন্ত আমেরিকানদের মন জয় করে জিতেছেন তিনি।
ট্রাম্পের এই বিপুল জয়ে জনমনে এখন বড় প্রশ্ন, নীতি নির্ধারণী মহলে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতেও পরিবর্তন আসবে?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত লিয়াকত আলী চৌধুরী বলেন, ‘আমার মনে হয় না নীতির ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানিক কনস্ট্যান্ট যেগুলি আছে সেগুলির কোনও পরিবর্তন হবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন কিছু করবেন না যার ফলে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের যে অবস্থান সেটির ওপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’
ট্রাম্পের নির্বাচন প্রচারণার দিকে তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, প্রথমদিকে তার নির্বাচনি ভাষার সঙ্গে শেষদিকের প্রচারণার পার্থক্য অনেক এবং শেষদিকে তিনি অনেক বেশি সংযত ছিলেন।
লিয়াকত বলেন, অভিবাসন এবং কিছু ক্ষেত্রে তার কিছু চাহিদা আছে এবং সেগুলি তিনি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত টি কে হায়দারও এ বিষয়ে একমত পোষণ করে বলেন, বড় ধরনের কোনও পরিবর্তন হবে না।
অভিবাসন ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান বাংলাদেশিদের কোনও অসুবিধা সৃষ্টি করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার (ট্রাম্প) নজর হিস্পানিক জনগোষ্ঠীর দিকে এবং সে ক্ষেত্রে অবৈধ অভিবাসীদের ভাগ্যে যা ঘটবে, বাংলাদেশিদেরও একই ভাগ্য বরণ করতে হবে।
বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কোনও পরিবর্তন আসবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিক্যাট মঙ্গলবারও বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কোনও পরিবর্তন হবে না। তাই ধরেই নেওয়া যায় বিষয়টি একই রকম থাকবে।
তিনি এটাও বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের গভীরতা বা ব্যাপ্তি বা গুরুত্ব এত বেশি না যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের নীতির প্রতি নিজেকেই নজর দিতে হবে।