খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৬: বহুল আলোচিত ড. জাকির নায়েকের ইসলামিক রিসার্স ফাউন্ডেশনের (আইআরএফ) কমপক্ষে ১০টি প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালিয়েছে ভারতের জাতীয় অনুসন্ধান বিষয়ক এজেন্সি (এনআইএ)। বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এতে বলা হয়েছে, শনিবার ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) কর্মকর্তারা মুম্বইয়ে ওইসব প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালান। তবে সেখান থেকে কোনো তথ্যপ্রমাণ উদ্ধার করা হয়েছে কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায় নি। উল্লেখ্য, সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেয়ার অভিযোগ আসে ড. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে। এ জন্য ড. জাকির নায়েক ও অন্যদের বিরুদ্ধে শুক্রবার একটি মামলা করেছে এনআইএ।
ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এ মামলা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন ড. জাকির নায়েক। খবরে বলা হয়েছে, আজ শনিবার খুব সকালে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ওই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে এনআইএ মুম্বই শাখা একটি মামলা করে। তাতে বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসী মানুষের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন ও বৈ আইনি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ইসলামিক রিসার্স ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর পরেই এ সংগঠনের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিল এনআইএ।
উল্লেখ্য, ঢাকায় হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় একজন সন্ত্রাসী জড়িত থাকার বিষয়ে প্রমাণ পাওয়ার পর আইআরএফ রয়েছে বিভিন্ন নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে। ঢাকায় ওই হামলার পর দেখা যায় সামাজিক মাধ্যমে এক সন্ত্রাসী পোস্ট দিয়েছে। তাতে সে বলেছে, ড. জাকির নায়েকের বক্তব্যে তারা উৎসাহিত হয়েছে। এর পরই ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে কোন কোন তরুণ বা যুবক নিখোঁজ হয়েছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। খবরে বলা হয়েছে, মুম্বই থেকে এ বছর বাড়িছাড়া হয়ে যেসব তরুণ বা যুবক আইএসে যোগ দিয়েছে তারা ড. জাকির নায়েকের বক্তব্যে উজ্জীবিত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। ওদিকে ড. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। বৃটেন, কানাডা ও মালয়েশিয়ায় তিনি নিষিদ্ধ হয়েছেন।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, আইআরএফের প্রধান ড. জাকির নায়েক। তিনি অনেক উস্কানিমুলক বক্তব্য দিয়েছেন এবং সন্ত্রাসী প্রচারণা চালানোতে লিপ্ত রয়েছেন। ওদিকে যুব সমাজকে মৌলবাদে উজ্জীবিত করা ও তাদেরকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। এরই মধ্যে বিদেশী অর্থ পায় এমন একটি শিক্ষামুলক ট্রাস্টকে এ অর্থ পাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।