খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৬: সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যে সামান্য ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিপক্ষরা বেশ জোর গলায় বলে আসছিল, ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে এই রাজ্যে। তাই শেষ পর্যন্ত রাজ্যটির নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হলো ভোট পুনর্গণনার আবেদন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার উইসকনসিন নির্বাচন কমিশনের কাছে এই আবেদন পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জিল স্টেইন। এরপর মিশিগান ও পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের ভোট পুনর্গণনার জন্যও আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে উইসকনসিন নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ‘স্টেইন ও দেল লা ফুয়েনতের কাছ থেকে পুনর্গণনার আবেদন পেয়েছে কমিশন।’
নিজের টুইটার বার্তায় জিল স্টেইন বলেছেন, উইসকনসিনে ভোট পুনর্গণনা আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে।
এর আগে জিল জানিয়েছিলেন, শুক্রবার উইসকনসিনের ভোট পুনর্গণনার আবেদনের শেষ দিন। যেখানে ট্রাম্প ০.৭ শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে জিতেছেন। পেনসিলভানিয়ায় এই ব্যবধান ছিল ১.২ শতাংশ। আর ওই অঙ্গরাজ্যে আবেদনের শেষ দিন আগামী সোমবার। আর ফল ঘোষিত না হওয়া মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প .০৩ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন। এখানে আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর।
জিল বলেছিলেন, তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস নির্বাচনের এই ‘ব্যাটেলগ্রাউন্ডগুলোতে’ কোনো একটা কারচুপি হয়েছে। নইলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তিন রাজ্যের ফলাফলই ট্রাম্পের পক্ষে যাওয়াটা অত্যন্ত সন্দেহজনক। ভোট গণনায় কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা দেখার জন্যই মূলত তিনি এ উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর ধারণা, কোথাও কারচুপি হয়েছে। বিদেশি হ্যাকাররা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে থাকতে পারে বলেও ধারণা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে এসব ভোট পুনর্গণনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মার্কিন নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অবশ্য উইসকনসিনে ভোট পুনর্গণনার ফলে যদি সেখানে ভোটের ফল পরিবর্তন হয়, তাহলেও খুব একটা লাভবান হবেন না ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। কারণ এখানে জয় পেলে হিলারি পাবেন মাত্র ১০টি ইলেকটোরাল কলেজ।
তবে মিশিগান ও পেনসিলভেনিয়া রাজ্যেও যদি ভোট পুনর্গণনার আবেদন করা হয়। আর সেখানে নতুন ফল যদি হিলারির পক্ষে যায়, তাহলে বেশ নাটকীয় ভাবেই যুক্তরাষ্ট্রবাসী প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেতে পারেন হিলারি ক্লিনটনকে।