Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৬:61
প্রসাশনকে ম্যানেজ করে মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের সাতগাঁও বাজার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন সরকারী খাল অবৈধভাবে দখল নিয়ে বালু ভরাট করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন প্রভাবশালী জাফর। এতে ওই খাল দিয়ে বিস্তীর্ণ ফসলি জমির পানি বেরুতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায়, আটপাড়া ইউনিয়নের সিংপাড়া, তিন গাও, মজিদপুর দয়হাটা, সাতগাও গ্রাম থেকে দীর্ঘতম খালটি বীরতারা বাজারের পাশ দিয়ে নিমতলা হয়ে শ্রীনগরেব খালের সাথে মিশেছে। প্রায় ৫ কিলোমিটারের অধিক দৈঘ্য এবং ২০/২৫ ফুট প্রস্থের একটি সরকারী খাল রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নৌকা চলাচল, পন্যদ্রব্য পরিবহণ এবং বিশাল নিচু ভূমির পানি নিস্কাশনে খালটি এত দিন ব্যবহিত হয়ে আসছিল।
বর্ষা মৌসুমে যেমন ভাসিয়ে নেয় বিস্তৃর্ণ এলাকা। তেমনি শুকনো মৌসুমে জমি আবাদে সেচের ব্যবস্থাও হয় এ খালের পানি থেকে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ৫ শ “একর জমিতে চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। জলাবদ্ধতা অনেক স্থানে পানির গভিরতা ২ থেকে ৬ফুট পর্যন্ত রয়েছে। অথচ বিগত কয়েক মাস ধরে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু জাফর বহাল তবিয়তে খালের জায়গা দখল করে পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ করে আসলেও দেখার কেউ নেই।
ফলে ওই খালটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। জনমনে এখন প্রশ্ন উঠেছে, খালটি যদি এলাকার মানুষের কাজে না আসতো তবে বীরতারা বাজার থেকে শুরু করে সাতগাঁও বাজার বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত। খালের উপর দিয়ে পারাপারের জন্য বিভিন্ন স্থানে ৪ টি কাঠের পুল ও ৫ টি বেইলী ব্রীজ নির্মাণ করা হতোনা।
নির্মাণাধীন পাকা ভবনের মাত্র ১০০/১৫০ গজ দূরেই পয়নিস্কাশন ও জলাবদ্ধতা দুরিভূত করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে একটি বেইলী ব্রীজ।
স্থানীয় কৃষক শেখ আনিছ (৬০) বলেন, আমার ১ কানি জমি আছে। জলাবদ্ধতার কারনে শরিষা বুনতে পারছিনা শুধু ধান চাষ করতে পারব।
সাতগাঁও নিমতলীর সামছুল হক মিয়া (৮৫) বলেন, খালটির কয়েকটি স্থানে অপরিকল্পিত ভাবে বাধ নির্মান করেছে। এছাড়া পাকা ভবন নির্মানের ফলে, চকের পানি নামতে পারছেনা। আমরা সময় মত জমিতে চাষ দিতে পারছিনা।
শিবু মন্ডল (৬০)বলেন, খালের জায়গায় বালু ভরাট করে পাকা ভবন নির্মাণ করায় নৌকা বা ট্রলার দিয়ে আমরা মালামাল আনতে পারছিনা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউ পি চেয়ারম্যান আজিম খানের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, বাজারের পাশ দিয়ে একটি সরকারী খাল রয়েছে। তবে কোন পাকা ভবন নির্মিত হচ্ছে কিনা তা আমার জানা নেই। ০১৭২১১৯৯৭০০

উপ সহকারী ভূমি অফিস কর্মকার্তা সেলিম বলেন, খালটি জেলা পরিষদের আওতাধীন। শাহজাহান ভাই-০১৯২৪৯১৯৭৬২,

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিলারা শারমিন বলেন, খালের উপর ভবন নির্মান সম্পর্কে আমার জানা নেই। খালের জায়গা দখল করে বালু ভরাটের বৈধতা সম্পর্কে জানার জন্য জাফর শেখর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে, মোবাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি মোবাইল ফোনটি কেটে দেন। বার বার চেষ্টা করেও তাকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি। অতিসত্বর খালের ভরাটকৃত বালু অপসারণ করে জলাবদ্ধতা দুরিকরণ সহ পন্যদ্রব্য পরিবহন ও নিচু ভূমির পানি নিস্কাষণের সু-ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।