খোলা বাজার২৪, শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬: বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে উখিয়ার কুতুপালং অনিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পে তৈরি করা হয়েছে নতুন দু’শতাধিক ঘর। অভিযোগ উঠেছে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা আদায় করছে মোটা অঙ্কের টাকা।
তবে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অস্বীকার করলেও পুলিশ বলছে, যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কারণে রাতের আধারে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে শত শত রোহিঙ্গা। আর এসব রোহিঙ্গা অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর একটি অংশ আশ্রয় নিয়েছে উখিয়ার কুতুপালং অনিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পে।
স¤প্রতি তাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা বন বিভাগের জমিতে পাহাড় কেটে মাটি, বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে তৈরি করেছে নতুন দুই শতাধিক ঘরবাড়ি। যেখানে আশ্রয় নিয়েছে নতুন দশ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা। যাদের আশ্রয় দিয়ে আদায় করা হচ্ছে ভাড়া ও মোটা অংকের টাকা।
কুতুপালং বস্তির বাসিন্দা ইয়াকুব আলী ও আবু তৈয়ব জানান, ছোট্ট একটি ঝুঁপড়িতে তারা স্বামী-স্ত্রী ছেলে মেয়েসহ ৭ জনের বসবাস। এমতাবস্থায় আত্মীয় হিসেবে এক পরিবারের ৫ জনকে জায়গা দিতে গিয়ে কোন রকমে ঠাসাঠাসির মধ্যে রাত কাটাতে হচ্ছে। এভাবে আরো বেশ কয়েকজন বস্তির বাসিন্দা নতুন রোহিঙ্গাদের জায়গা দিতে গিয়ে কষ্টের কথা সাংবাদিকদের কাছে জানালেন।
দেখা যায়, পলিথিনের ঘেরাবেড়া ও ছাউনি নিয়ে ৪/৫টি নতুন ঝুঁপড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে। মিয়ানমারের খেয়ারীপাড়া থেকে আসা মৃত শরিফ হোসেনের ছেলে আবুল, জসিম জানায়, তারা স্বামী-স্ত্রীসহ ৬ জনের একটি পরিবার অস্থায়ী ভাবে স্থানীয় আব্দুল হামিদের নিকট থেকে টাকা দিয়ে একটি ঝুঁপড়ি বাধাঁর অনুমতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
মংডু নাইছংপাড়ার জাফর আলম (৪০) জানায়, সে স্থানীয় সিরাজ সওদাগরের নিকট থেকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি ঝুঁপড়ি বাধাঁর জায়গা নিয়েছেন। ক্যাম্পের বাজার থেকে পলিথিন, বাঁশ ক্রয় করে একটি ঝুঁপড়িঘর নির্মাণ করেছি। এভাবে আরো বেশ কয়েকজন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা নাগরিক নতুন করে ঝুঁপড়ি নির্মাণের কথা জানালেন।
গত ১১ নভেম্বর থেকে মিয়ানমারের মগ সেনা পুলিশ ও রাখাইন স¤প্রদায়ের ত্রিমুখী নির্যাতনের শিকার হয়ে মংন্ডু রাখাইন রাজ্য এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গারা এপারে চলে আসছে। অধিকাংশ রোহিঙ্গা কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তিও কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি কমিটির সভাপতি আবু ছিদ্দিক জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার আরো ১৫ পরিবারের প্রায় শতাধিক রোহিঙ্গাসহ প্রায় ১১ হাজার রোহিঙ্গা দু’ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। সে জানায়, আত্মীয়তা ও পূর্ব পরিচিতির সুবাধে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও তাদেরকে শীত বস্ত্র বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বিধায় এসব রোহিঙ্গারা শীত নিবারণ সহ নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, সীমান্তে বিজিবি’র কড়া নজরদারি সত্ত্বেও যেসব রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে তাদেরকে আটক করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি নাফনদী অতিক্রম করা কালেও রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
নতুন রোহিঙ্গা আসায় ঘরবাড়ি তৈরি করবে এটা স্বাভাবিক বিষয়। তবে ঘর বেচাকেনা কিংবা ভাড়া আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
তবে কক্সবাজার উখিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কায় কিসলু বলছেন, যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও বন বিভাগের জমি দখল করে অর্থ আদায় করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে ১৫ হাজার আর তার পাশে বন বিভাগের জমিতে অনিবন্ধিত ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।
র্রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা আদায় করছে মোটা অঙ্কের টাকা।
মনিরুল ইসলাম পারভেজ, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে উখিয়ার কুতুপালং অনিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পে তৈরি করা হয়েছে নতুন দু’শতাধিক ঘর। অভিযোগ উঠেছে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা আদায় করছে মোটা অঙ্কের টাকা।
তবে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অস্বীকার করলেও পুলিশ বলছে, যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কারণে রাতের আধারে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে শত শত রোহিঙ্গা। আর এসব রোহিঙ্গা অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর একটি অংশ আশ্রয় নিয়েছে উখিয়ার কুতুপালং অনিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পে।
স¤প্রতি তাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা বন বিভাগের জমিতে পাহাড় কেটে মাটি, বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে তৈরি করেছে নতুন দুই শতাধিক ঘরবাড়ি। যেখানে আশ্রয় নিয়েছে নতুন দশ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা। যাদের আশ্রয় দিয়ে আদায় করা হচ্ছে ভাড়া ও মোটা অংকের টাকা।
কুতুপালং বস্তির বাসিন্দা ইয়াকুব আলী ও আবু তৈয়ব জানান, ছোট্ট একটি ঝুঁপড়িতে তারা স্বামী-স্ত্রী ছেলে মেয়েসহ ৭ জনের বসবাস। এমতাবস্থায় আত্মীয় হিসেবে এক পরিবারের ৫ জনকে জায়গা দিতে গিয়ে কোন রকমে ঠাসাঠাসির মধ্যে রাত কাটাতে হচ্ছে। এভাবে আরো বেশ কয়েকজন বস্তির বাসিন্দা নতুন রোহিঙ্গাদের জায়গা দিতে গিয়ে কষ্টের কথা সাংবাদিকদের কাছে জানালেন।
দেখা যায়, পলিথিনের ঘেরাবেড়া ও ছাউনি নিয়ে ৪/৫টি নতুন ঝুঁপড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে। মিয়ানমারের খেয়ারীপাড়া থেকে আসা মৃত শরিফ হোসেনের ছেলে আবুল, জসিম জানায়, তারা স্বামী-স্ত্রীসহ ৬ জনের একটি পরিবার অস্থায়ী ভাবে স্থানীয় আব্দুল হামিদের নিকট থেকে টাকা দিয়ে একটি ঝুঁপড়ি বাধাঁর অনুমতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
মংডু নাইছংপাড়ার জাফর আলম (৪০) জানায়, সে স্থানীয় সিরাজ সওদাগরের নিকট থেকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি ঝুঁপড়ি বাধাঁর জায়গা নিয়েছেন। ক্যাম্পের বাজার থেকে পলিথিন, বাঁশ ক্রয় করে একটি ঝুঁপড়িঘর নির্মাণ করেছি। এভাবে আরো বেশ কয়েকজন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা নাগরিক নতুন করে ঝুঁপড়ি নির্মাণের কথা জানালেন।
গত ১১ নভেম্বর থেকে মিয়ানমারের মগ সেনা পুলিশ ও রাখাইন স¤প্রদায়ের ত্রিমুখী নির্যাতনের শিকার হয়ে মংন্ডু রাখাইন রাজ্য এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গারা এপারে চলে আসছে। অধিকাংশ রোহিঙ্গা কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তিও কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি কমিটির সভাপতি আবু ছিদ্দিক জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার আরো ১৫ পরিবারের প্রায় শতাধিক রোহিঙ্গাসহ প্রায় ১১ হাজার রোহিঙ্গা দু’ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। সে জানায়, আত্মীয়তা ও পূর্ব পরিচিতির সুবাধে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও তাদেরকে শীত বস্ত্র বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বিধায় এসব রোহিঙ্গারা শীত নিবারণ সহ নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, সীমান্তে বিজিবি’র কড়া নজরদারি সত্ত্বেও যেসব রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে তাদেরকে আটক করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি নাফনদী অতিক্রম করা কালেও রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
নতুন রোহিঙ্গা আসায় ঘরবাড়ি তৈরি করবে এটা স্বাভাবিক বিষয়। তবে ঘর বেচাকেনা কিংবা ভাড়া আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
তবে কক্সবাজার উখিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কায় কিসলু বলছেন, যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও বন বিভাগের জমি দখল করে অর্থ আদায় করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে ১৫ হাজার আর তার পাশে বন বিভাগের জমিতে অনিবন্ধিত ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।