সোনামসজিদ স্থলব্দরে বিএসটিআইয়ের স্থায়ী অফিস না থাকায় ভারত থেকে আমদানিকৃত ফলমূলসহ বিএসটিআই’র আওতাভুক্ত আমদানিকৃত পণ্য ছাড়ে বিলম্ব হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
বিএসটিআই’র অফিস না থাকার কারণে আমদানিকারকদের হয়রানি হতে হচ্ছে পণ্য ছাড়ের ক্ষেত্রে। তাদের পণ্য ছাড়ের সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য রাজশাহী অফিসে যেতে হয় বলেও তারা জানান।
তবে গত বছর একটি সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শিবগঞ্জ পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টরকে ফরমালিন পরীক্ষা করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। সেই মোতাবেক প্রথম শ্রেণির পৌরসভা শিবগঞ্জের সেনেটারি ইন্সপেক্টর বুয়েট থেকে স্বীকৃত একটি মেশিন দিয়ে ফলের ফরমালিন পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট প্রদান করতেন বলে সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সূত্রে জানা যায়। চলতি বছরও একই সিদ্ধান্তের উপরে আমদানিকৃত ফল ফরমালিন পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে সাধারণ সম্পাদক জানান।
ভারত থেকে আমদানিকৃত বিভিন্ন ধরনের ফল নিয়ে দু’একটি করে ট্রাক গত কয়েকদিন থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করছে। এ আমদানিকৃত ফল পরীক্ষা করে ছাড় করা হচ্ছে কি না জিজ্ঞেসা করা স্থলে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্বরত সহকারী কাস্টমস কমিশনার কেফায়েত রোববার জানান, সব ধরনের কাগজ সম্পন্ন করেই আমদানিকৃত ফলসহ বিভিন্ন পণ্য ছাড় দেয়া হয়ে থাকে। তবে তিনি জানান, এ সমস্ত ফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিএসটিআই’র একটি অফিস সোনামসজিদে চালু করা প্রয়োজন।
এছাড়াও সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি কবিরুর রহমান ও সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, দীর্ঘদিন যাবত সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বিএসটিআইস’র অফিস চালু করার জন্য দাবি জানিয়ে আসা সত্ত্বেও আজ অবধি বিএসটিআই’র অফিস চালু করা হয়নি। ফলসহ বিএসটিআই’র কর্তৃক যে সমস্ত পণ্য পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হয় সেই বাণিজ্যের স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে সোনামসজিদে ফরমালিন পরীক্ষার জন্য উন্নতমানের মেশিনসহ বিএসটিআই’র অফিস চালু করার জন্য ব্যবসায়ীরা আবারও দাবি জানান।
