খোলা বাজার২৪, সোমবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬: টাঙ্গাইলে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধে শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষকসহ ১৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুই খেলোয়াড়কে টাঙ্গাইলের কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঁরা হলেন মেহেদী হাসান (১৮) ও জাকির হোসেন (১৭)।
এছাড়া শরীরচর্চা শিক্ষক মঞ্জুরুল হক (৪০), খেলোয়াড় মারুফ হাসান (১৭), ফাহিম ফয়সাল (১৭), আব্দুল্লাহ আল হাসান (১৬)সহ অন্যরা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ৪ ডিসেম্বর রোববার বিকেলে টাঙ্গাইলের এম. এম. আলী কলেজ মাঠে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে টাঙ্গাইলের এম. এম. আলী কলেজ মাঠে আন্তঃকলেজ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা দুইটায় খেলা শুরু হওয়ার আগে থেকেই এম. এম. আলী কলেজের শিক্ষার্থীরা শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক ও খেলোয়াড়দের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। খেলাটি ড্র হওয়া সত্ত্বেও খেলা কমিটি এম.এম.আলী কলেজকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এ বিষয়টি শেরপুর সরকারি কলেজের শরীরচর্চা শিক্ষক মো. মঞ্জুরুল হক তাঁর কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান ও ঢাকা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এম.এম.আলী কলেজের শিক্ষার্থীরা গত রোববার বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক ও খেলোয়াড়দের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এতে সরকারি কলেজের শরীরচর্চা শিক্ষক মঞ্জুরুল হক ও খেলোয়াড়সহ ১৯ জন আহত হন। এ ঘটনায় সরকারি কলেজের শিক্ষক মঞ্জুরুল হক টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি জিডি করেছেন।
অধ্যক্ষ ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজ সোমবার বিকেলে বলেন, তাঁর কলেজের শিক্ষক ও খেলোয়াড়দের আহত করার জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষকে এম.এম আলী কলেজের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে ও খেলার মাঠে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় তাঁর কলেজের খেলোয়াড়দের পক্ষে অংশ গ্রহণ করা সম্ভব হবে না।