খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬: দুনীতির মামলায় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে জেলা দুদক। নিঝুম দ্বীপের ইউপি সচিব ছিদ্দিক আহমেদ জুয়েল বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে মাইজদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মেহেরাজ হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ গ্রামের মৃত আবদুল মন্নানের ছেলে।
দুদুক সুত্রে জানা যায়, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন ১১৯জন হতদরিদ্র মহিলাদের নামে ৪২ মেট্রিক টন চাউল এবং ৩৮৯জন জেলেদের নামে বরাদ্ধকৃত ৬২ মেট্রিকটন চাউলের মধ্যে কিছু বিতরণ করে ৫০ মেট্রিক টন চাউল আতœসাত করে। যাহার বাজার মূল্য ১৮লাখ টাকা। উক্ত চাউল গোডাউনে যাওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ বাদ দিয়ে নিজস্ব লোক দিয়ে পাহারার ব্যবস্থা করে।
তাছাড়া তার বিরুদ্ধে সিডিএসপি বাজার ,নামার বাজার, বৌবাজার, ছয়াণী খাল, ডুবাইয়া খাল থেকে ইজারার নামে লাখ লাখ টাকা আতœসাৎ করেছে। গত ১৫ মে সাবেক ইউপি সচিব ছিদ্দিক আহমেদ জুয়েল বাদী হয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ১৩,তাং- ১৫/০৫/১৬ইং। মামলাটি জেলা পুলিশ সুপার থেকে নোয়াখালী দুনীতি দমন অফিসে হস্তান্তরর করা হয়।
দুদক নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো: মশিউর রহমান মামলাটির তদন্তকরে দুর্নীতির সত্যতা পায়। পরে রোববার দুপুরে মাইজদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
দুদকের উপ-পরিচালক (সমন্বিত) নোয়াখালী তালেবুর রহমান জানান, ভিজিডি ও জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় নিঝুমদ্বীপের মেহেরাজ চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, ইউপি সচিব সমিতি নোয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, নিঝুমদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।