খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬: বাংলাদেশ ও নেপালে চীনের গতিবিধি বাড়ায় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে ভারতের। বিষয়টি নিয়ে ভীষণ চিন্তিত নয়া দিল্লি। এ জন্য ভারত-চীন সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়া দিল্লি। পাশপাশি, বাংলাদেশ, নেপাল ও মিয়ানমারের মত প্রতিবেশী দেশগুলিতে নিজেদের গতিবিধি বাড়িয়ে যাতে কোনওভাবেই কার্যসিদ্ধি করতে না পারে চীন, তার জন্যও ভারতের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে সতর্কতা।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম সোমবার এ খবর দিয়েছে। পত্রিকাটি লিখেছে, প্রতিবেশী দেশের ওপর বাড়ছে চীনের গতিবিধি। কখনও বাংলাদেশ আবার কখন মিয়ানমারে। আবার কখনও নেপালে। ভারত-চীন সীমান্তেও বেজিংয়ের তৎপরতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলির ওপর ক্রমাগত চীনের গতিবিধি বাড়ায় বেশ চিন্তায় দিল্লি।
সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি লিখেছে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব এবং জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স কমিটির প্রধান আর এন রবির সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনাও করেছেন। ভারত-চীন সীমান্তে কী করে স্পেশাল সার্ভিস ব্যুরো (এসএসবি)-র নজরদারি বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে হয়েছে আলোচনা।
পত্রিকাটি লিখেছে, অরুণাচলে ভারত-চীন সীমান্তে ড্রাগন সেনার দাপাদাপি এবং অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই সেখানে ব্রহ্মোস ক্ষেপনাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। পাশপাশি, লাদাখ সীমান্তেও মোতায়েন করা হয়েছে বড় বড় শক্তিশালী ট্যাঙ্ক। ভারতের সীমানার মধ্যে যাতে কোনওভাবেই চীনের সেনা অনুপ্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য সদা সতর্ক দিল্লি। ভারত-চীন সীমান্তে শক্তিশালী ট্যাঙ্ক এবং ব্রহ্মোস মোতায়েন করে ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চাপানউতর বাড়তে শুরু করেছে।
ইন্ডিয়া ডটকমের খবরে বলা হয়েছে, নেপালে গতিবিধি বাড়িয়ে এবার বাংলাদেশেও নিজেদের পসার জোরদার করতে চাইছে চীন। এফডিআই সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নে অংশীদার হতে চাইছে বেজিং। যা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে ভারতের। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বাংলাদেশে যান চীনের রাষ্ট্রপতি জিংপিং । এবং সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ২৮টি মৌ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। যা মোটেই ভালভাবে দেখছে না দিল্লি।
বাংলাদেশ, নেপাল বা মিয়ানমারের মত ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সখ্যতা বাড়িতে যাতে ভারতের সীমান্তে চীন অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে দিকেই কড়া নজর রাখা হয়েছে। এবং, এসএসবি মোতায়েন করে সুরক্ষিত করা হচ্ছে সীমান্তও। ফলে, স্পেশাল সার্ভিস ব্যুরোকে দিয়েও চালানো হচ্ছে কড়া নজরদারি।