খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬:
রাজধানীর দক্ষিণখান থানার পূর্ব আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে কয়েকজন জঙ্গিকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা আইনশৃংখলা বাহিনীর জন্য অনেক বড় সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শুক্রবার দিনগত রাত ১২টা থেকে পুর্ব আশকোনার হাজিক্যাম্পের কাছে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি তিনতলা ভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড টান্সন্যাশনাল ইউনিট (সিটি)।
এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইনশৃংখলা বাহিনীর আত্মসমর্পণের আহ্বানে সারা দিয়ে দুই শিশুসহ দুই নারী ভবনটির ওই আস্তানা থেকে বের হয়ে পুলিশের কাছে ধরা দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী এই দুই নারী জঙ্গি হচ্ছে পল্লবীতে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পুলিশের অভিযানে নিহত মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবু্ন্েনসা শীলা ও তার শিশু সন্তান এবং পলাতক মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা ও তার শিশু সন্তান।
আশকোনার ওই আস্তানায় এখনো ৩ জন পুরুষ জঙ্গি রয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশণার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তাদের জীবিত ধরার চেষ্টা করছি। তাদেরকে আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান জানিয়েছি।
তিনি বলেন, শুক্রবার দিনগত রাত ১২টা থেকে পুলিশ এখানে অভিযানে এসে বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। কিন্তু কোনো অ্যাকশনে যাইনি। তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায়। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দুই নারী জঙ্গিসহ ৪ জন আত্মসমর্পণ করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য এটা অনেক বড় সফলতা।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা বাকি তিন জঙ্গিকেও আত্মসমর্পণে বাধ্য করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, এখানে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত তানভীর কাদরীর ছেলে আবিরও রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করছি তারা অত্মসমর্পণ করে কিনা। তা না হলে বাধ্য হয়ে আমাদের অ্যাকশনে যেতে হবে। তবে তাদের সঙ্গে সমঝোতায় জীবিত আটক করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
এর আগে শনিবার ভোরে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড টান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটি) প্রধান মনিরুল ইসলাম জনিয়েছিলেন, জঙ্গিরা আত্মসমর্পণের আহ্বান নাকচ করে দিয়ে বুকে গ্রেনেড বেঁধে প্রতিরোধের ঘোষণা দেন।
যার কারণে ওই বাড়ির অন্য ফ্ল্যাটগুলো থেকে এবং আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।