খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬:
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি বসতিস্থাপন বন্ধের দাবি জানিয়ে ঐতিহাসিক এক রেজ্যুলেশন পাস করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এতে বসতি স্থাপনকে বে আইনি ঘোষণা করা হয়েছে।
অতীতের অবস্থান থেকে সরে এই রেজ্যুলেশন পাসে যুক্তরাষ্ট্র তার ভেটো (আমি মানি না) ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি। এবার যুক্তরাষ্ট্র ভোটদান থেকে বিরত ছিল। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।
মিশরের প্রস্তাবিত এই রেজ্যুলেশনের ওপর বৃহস্পতিবার ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিহুয়ার চাপের মুখে মিশর শেষ মুহূর্তে প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়।
তবে সহ-প্রস্তাবক নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভেনিজুয়েলা এবং সেনেগাল প্রস্তাব উত্থাপনে অনড় থাকলে শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে এর ওপর ভোটাভুটি হয়।
রেজ্যুলেশনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ সদস্যই ভোট দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ভোটদান থেকে বিরত ছিল। এরআগে ২০১১ সালে এ ধরনের একটি রেজ্যুলেশন ভেটো দিয়ে বাতিল করে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
গত আট বছরে এই প্রথম ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কোনো রেজ্যুলেশন গ্রহণ করলো।
এর আগে এই রেজ্যুলেশন ঠেকাতে ভেটো প্রয়োগের জন্য ওবামা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহু। ট্রাম্প মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে ফোন দিলে শেষ মুহূর্তে প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয় মিশর।
শেষ পর্যন্ত সব আশংকা উড়িয়ে দিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই রেজ্যুলেশনে ১৯৬৭ সাল থেকে পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসতিস্থাপন বন্ধে ইসরাইলের প্রতি দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ উদ্যোগ টিকিয়ে রাখতে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন বন্ধ আবশ্যক। এই বসতি স্থাপনের কোনো আইনি ভিত্তি নেই এবং এটি আন্তর্জাতিক আইনের ঘোরতর লংঘন।
এদিকে এই প্রস্তাব পাসের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরাইলি এক কূটনীতিক।
উল্লেখ্য, বসতিস্থাপনসহ ইসরাইলের ফিলিস্তিন নীতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরোধ ছিল। এনিয়ে বেশ কয়েকবার তারা প্রকাশ্যে বাদানুবাদেও লিপ্ত হয়েছিলেন।