Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬:16
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আগ্রাসন চালাতে পারে এমন যে কোনো দেশের চেয়ে তার দেশ শক্তিধর।

এই দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছেন, রাশিয়া তার পারমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সমরাস্ত্রের আধুনিকীকরণ করেছে।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি-ব্যালাস্টিক মিসাইল (এবিএম) চুক্তি থেকে সরে যাওয়া নতুন করে পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ১৯৭২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে এই চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয় নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “আমরা ছাড়া কেউ ভাবেনি, তিনি জিতবেন।”
বারাক ওবামার দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান পার্টির নেতা ট্রাম্প বিভিন্ন সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনেক বিষয়ে কথা বলেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সমরাস্ত্র নিয়ে পুতিন বলেন, “এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে, আমরা আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি বাড়াতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।”
যুক্তরাষ্ট্র এবিএম চুক্তি থেকে সরে যাওয়ায় রাশিয়াকে তার সমরাস্ত্র আধুনিকীকরণ করতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এখনও বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বলেও স্বীকার করেন পুতিন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার চলাকালে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রচার শিবিরের কম্পিউটারে হ্যাকিংয়ে রাশিয়ার হাত রয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা অস্বীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
পুতিন বলেন, “পরাজিত পক্ষ বাইরের শক্তিকে দোষ দিতে চাইছে। তারা নিজেদের সমস্যার দিকে নজর দিলেই ভালো করবে।”
কংগ্রেসের প্রতিনিধি নির্বাচনেও ডেমোক্রেটদের পরাজয়ের কথা তুলে ধরেন তিনি।
“আসল কথা হলো, হ্যাকাররা যে সব তথ্য সরবরাহ করেছেৃ সেগুলোতে কি কিছু অতিরঞ্জিত করা হয়েছে? না, তারা সত্য তথ্য প্রকাশ করেছে,” বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
একজন সাংবাদিক পুতিনকে বলেন, একটি জরিপ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির ৩৭ শতাংশ সমর্থক তার সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
এ বিষয়ে পুতিন বলেন, “এর অর্থ- বিশ্ব কীভাবে চলা উচিত, কীভাবে অভিন্ন সমস্যাগুলো সমাধান করা যায় সে বিষয়ে অনেক আমেরিকানের একই দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
“আমাদের দুই শক্তিধর দেশের মধ্েয সম্পর্ক তৈরিতে এটা ভালো একটি ভিত্তি হতে পারে।”