খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৯ জানুয়ারি ২০১৭: চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর মোবাইল ফোনের সিমটি এখন ঢাকার মগবাজারের একজন সিএনজি চালক ব্যবহার করছেন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় মিতুর ব্যবহৃত ওই নম্বরে ফোন করা হলে, অপরপ্রান্ত থেকে নিজেকে আব্দুল মান্নান বলে পরিচয় দেন ওই সিনজি চালক। তিনি জানান, চার/পাঁচ মাস আগে মালিবাগে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে সিমকার্ডটি কুড়িয়ে পান তিনি। সেটিই তিনি এখন মোবাইল ফোন সেটে লাগিয়ে ব্যবহার করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মিত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি মো. কামারুজ্জামান বলেন, আমরা বিষয়টা জেনেছি। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছি। একজন সিএনজি চালক মিতুর সিমটি ব্যবহার করছেন। তাকে জিজ্ঞাবাদ করলে হয়তো খুনিদের ব্যাপারে কোন ক্লু পাওয়া যেতে পারে।
মোবাইল ফোনের এই নম্বরটির মালিক চট্টগ্রামে হত্যার শিকার সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুর তা তিনি জানেন না বলে জানান, সিএনজি চালক ও পটুয়াখালীর কুয়াকাটার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান।
এ ব্যাপারে মিতুর বাবা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশারফ হোসেন জানান, মেয়ের মোবাইল ফোনটি যে চালু রয়েছে, তা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। মিতুর স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু কেউই বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
তিনি আরও জানান, গত ১৮ অক্টোবর মিতুর মেয়ে তাবাসসুম তাসনিম টাপুরের জন্মদিন ছিল। ওই দিন আবেগ প্রবণ হয়ে নিজের মোবাইল ফোন থেকে মিতুর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে তা খোলা পেয়েছিলেন তিনি। তখন ওই নম্বরটি ব্যবহারকারীর সঙ্গে তার কথাও হয়েছিল। ওই ব্যক্তি জানান, তিনি সিএনজি চালক। হাতিরঝিল থেকে সিমটি কুড়িয়ে পেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, এরপর আরো তিন-চার দিন কথা হয় ওই ফোন নম্বরে। পরে ওই নম্বর ব্যবহারকারী একেক সময় একেক পরিচয় এবং সিমটি পাওয়ার স্থান সম্পর্কেও একেক জায়গার কথা বলতে থাকেন। মাঝে মাঝে ফোনটি বন্ধও পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এটি ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে আলোচিত ঘটনার একটি।