Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭:  33পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের গদর শহর। আর এই বন্দর-শহরের পাশেইআরব সাগর। গদরের মাহাত্ম্য ‘সিপিইসি’ হিসেবে, মানে ‘চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর’। চিন ও পাকিস্তানের ‘ইকনমিক করিডর’-এর একটি মুখ্য স্থান এই বন্দর। গদর বন্দরটি, চিনের ‘ওয়ান রোড, ওয়ান বেল্ট’ প্ল্যানের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল।

গদর বন্দরে কাজ শুরু হয় ২০১৬র ১৪ নভেম্বর থেকে। কিন্তু ২০১৫-তেই এই বন্দরটি, ৪৩ বছরের জন্য চিনকে ‘লিজ’ দিয়ে দেয় পাকিস্তান। মানে, ২০৫৯ সাল পর্যন্ত গদর বন্দরের যাবতীয় কার্যকলাপ দেখবে চিন।
মূলত ব্যবসার জন্যই এই ‘ওয়ান রোড, ওয়ান বেল্ট’-এর প্রকল্প মাথায় আসে চিনের। তারই অংশ হিসেবে ‘মেরিটাইম সিল্ক রোড’-এর ভাবনা। এবং পাকিস্তানের গদর বন্দর যে ভবিষ্যতে এই ব্যবসায়িক সম্পর্কে খুবই ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই দুই দেশের।
কিন্তু, ব্যবসার সম্পর্কে যুদ্ধ-জাহাজের কী দরকার? আর কেনই বা তা হলে চিন দু’টি এমন জাহাজ ‘উপহার’ দিল পাকিস্তানকে? পাকিস্তানের দুই নদীর নামানুসারে ‘হিঙ্গোল’ ও ‘বাসল’ নামে জাহাজ দু’টির অভ্যর্থনার জন্য গদর বন্দরে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের নেভি ভাইস অ্যাডমিরল আরিফুল্লা হুসেইনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য ছিল এমনটাই— চিনের দেওয়া এই জাহাজ দু’টির জন্য পাকিস্তানের নৌ-সেনা আরও মজবুত হল।
‘সিপিইসি’ প্রকল্প অনুযায়ী, হিঙ্গোল ও বাসল যুদ্ধজাহাজ হলেও, তাদের মূল দায়িত্ব এই জলপথের সুরক্ষা। এর পরে, দশৎ ও ঝোব নামে আরও দুটি জাহাজও পাকিস্তানকে দেবে চিন।