খােলা বাজার২৪, সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭: গতকাল সিডনির ওয়ানডের আগে কী খেয়েছিলেন পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা? না, আজহার আলিদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েননি। তবে তাঁদের একের পর এক ক্যাচ ফেলা দেখে সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার রীতিমতো বিরক্ত। তাঁর মনে প্রশ্ন জেগেছে—তৈলাক্ত কিছু খেয়ে খেলতে নামেনি তো পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা!
একটু যেন চটেই গেছেন শোয়েব। চটবেন না-ই বা কেন! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর পাকিস্তানের রূঢ় সমালোচনা করেছিলেন ইয়ান চ্যাপেল। সেটাই হজম করতে পারছেন না পাকিস্তানের সাবেকেরা। আর আজ চতুর্থ ম্যাচটি ৮৬ রানে জিতে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ওয়ানডে সিরিজও জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।
এই ম্যাচে চার-চারটি ক্যাচ ফেলেছে পাকিস্তানের ফিল্ডাররা। ফিল্ডিংও হয়েছে খুব বাজে। অস্ট্রেলিয়াকে রানের পাহাড়ে উঠতে বড় ভূমিকা ছিল ডেভিড ওয়ার্নারের ১১৯ বলে ১৩০ রানের ইনিংসটি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৭৮ আর ট্রাভিস হেড করেছেন ৫১ রান। এ ছাড়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ১ রানের জন্য পাননি ফিফটি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস দাঁড়িয়ে আছে যে চারজনের রানে, প্রত্যেকেরই ক্যাচ ফেলেছে পাকিস্তান!
১১৩ রানে ওয়ার্নার আর ২ রানে ম্যাক্সওয়েলের ক্যাচ মিস করেন হাসান আলি। দুবারই বোলার ছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। স্মিথ ‘জীবন’ পান ১০ রানে আর হেড ২৮ রানে। দুজনই বেঁচে গিয়েছিলেন শারজিল খানের ঘি-মাখা পিচ্ছিল হাতের সৌজন্যে। দু ক্ষেত্রেই বোলার ছিলেন জুনাইদ খান।
সব দেখে রাগটা চেপে রাখতে পারেননি শোয়েব। রাগটা ঝেড়েছেন টুইটারে, ‘আমি মনে করি এসসিজিতে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা কী খেয়ে নেমেছিল তা তদন্ত করে দেখা উচিত। এক ইনিংসে এত ক্যাচ হাত ফসকাতে দেখিনি আমি। তৈলাক্ত কোনো খাবার? মাখন মাখা হাত?’