খােলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: ডিমলা (নীলফামারী) : নীলফামারীর ডিমলায় চার ইউনিয়নের মানুষের স্বপ্ন পুরন। নাউতারা খালিশা চাপানী,ঝুনাগাছ চাপানী গয়াবাড়ী ইউনিয়নের অংশের লাক্ষ লাক্ষ মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল নাউতারা ব্রীজ। সীমান্তবর্তী এই উপজেলা ব্যবসা বানিজ্যের দিক থেকে প্রাচীন আমল থেকে নাম কুরিয়েছে এই নাউতারা বন্দর। বৈশিষ্টগত দিক থেকে নাউতারা বন্দরের পশ্চিমে প্রন্তে সোনামনির ডাঙ্গা এই দুয়ের মাঝে বয়ে গেছে নাউতারা নদী।
এলাকার শুধি জনদের মতে ৮০ দশকে তৎকালি সিনিয়র মন্ত্রি মরহুম মশিয়ার রহমান যাদু মিঞা স্থাপন করেন বেইলী ব্রীজ । ডার্লিয়া-ডিমলা যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই ব্রীজটি। কালের আবর্তমানে ব্রীজটি চলাচলের বেহাল অবস্থা হলে উক্ত চার ইউনিয়নের সর্বস্থরের মানুষ পরে সর্বদিক থেকে চরম র্দুভোগে। এই র্দুভোগ হতে বেরিয়ে আসার ব্যপারে কথা হয় নাউতারার সাবেক চেয়ারম্যন মোশারফ হোসেন মিন্টু তিনি বলেন আমার শাসন আমলে বহু বার এই ব্রীজ কে নিয়ে সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, স্থানীয় সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বিভিন্ন সভা সেমিনারে আমন্ত্রন জানালে তারা এসে তা সরজমিনে দেখেন।
সেই সাথে সাইফুল ইসলাম লেলিন চেয়ারম্যান নাউতারা ইউনিয়ন পরিষদ তিনি বলেন অনেক প্রত্যাশিত এই ব্রীজটি নির্মানে ইউনিয়ন বাসী অত্যন্ত আনন্দিত। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম সভাপতি নাউতারা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ তিনি বলেন লাক্ষ মানুষের কষ্ট লাঘবের এই ব্রীজটি নির্মানে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাংসদ তাঁর অবদান ভুলে গেলে চলবেনা তাঁর এই মহতী স্থাপনার জন্য ইউনিয়ন বাসীর পক্ষ থেকে জানাই প্রাণ ঢালা অভিনন্দন। সেই সঙ্গে ব্রীজটি যেন নিখুঁত ভাবে নির্মাণ হয়। এ জন্য উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী আবু জাফর মোঃ সালেহ্ বলেন নাউতারা নদীর উপরে নির্মিত ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য ২৪ ফিট প্রস্থের আরসিসি ব্রীজটি নির্মাণ মূল্য এক কোটি পচানব্বই লক্ষ টাকার আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ হবে।
সেই সঙ্গে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শামিমুর রহমান জেভি ফার্মোর মোঃ ইকবাল করিম জুয়েল প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার সিরাজগঞ্জ বলেন ভালো মানের মান সম্মত ব্রীজ নির্মানের ব্যাপারে আমার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোন প্রকার ত্র“টি নেই।
উপজেলা প্রকৌশলীর সহায়তা পেলে জুন ২০১৭ এর মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশার করছি। এরই মধ্যে পাইলের কাজ শেষ হয়েছে ৮ ফেব্র“য়ারী বেজ ঢালাই এবং ভাটিকাল ওয়ালের কাজ চলছে। কাজ চলাকালীন সময়ে উপস্থিত ছিলেন উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জিকরুল আমিন সহ প্রকৌশলী কর্মচারীবৃন্দ।