খােলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ : শরীয়তপুর : গোসাইরহাট মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে ধারালো দা দিয়ে বৃদ্ধ বাবাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে। ঘাতক ছেলেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের ভাতিজা রুবেল খান জানান, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছোট কালিনগর গ্রামের ওয়ারেছ খান (৭০)এর ছেলে গোসাইরহাট সামসুর রহমান কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়–য়া মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে দবির উদ্দিন খান কে সম্প্রতিকালে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন যেতে না যেতেই নববধূ স্বামীকে ফেলে বাপের বাড়ি চলে যায়। চলে যাওয়ার পর থেকেই দবির উদ্দিন খান তার বাবাকে নববধূকে ফিরে আনার জন্য তাগিদ দেয়। ছেলে মানসিক সমস্যার কারনে বাবা এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারনে ছেলে দবির উদ্দিন ক্ষুদ্ধ হয়। শুক্রবার সকাল অনুমান ৯টায় বিপতœীক বাবা ওয়ারেছ খান বাড়িতে নিজের কাপ চোপড় ধুতে ছিলেন । এ অবস্থায় ছেলে দবির ধারালো দা দিয়ে পিছন থেকে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর বাবাকে গলাকেটে হত্যা নিশ্চিত করে। খবর পেয়ে আশে পাশের লোকজন এসে ঘাতক ছেলেকে আটক করে গোসাইরহাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এ নিয়ে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
নিহতের মেয়ে নাজমা বেগম বলেন, আমার ছোট ভাই কিছুদিন পূর্বে মানসিক সমস্যা দেখা দিয়ে আমারা বাবাকে বলে তাকে বিয়ে দেই। বিয়ের কিছুদিন পরে নববধু ভাইকে ফেলে চলে যায়। এরপর থেকে ভাই দবির খান তার স্ত্রীকে এনে দেয়ার জন্য আমার বৃদ্ধ বাবাকে চাপ দেয়। বাবা নববধুকে আনতে যায়নি বলে ক্ষুদ্ধ হয়ে আমার ভাই বাবাকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করেছে।
গোসাইরহাট থানার ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে তার বাবাকে খুন করেছে। ছেলেকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।