Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

49খােলা বাজার২৪, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ : রোহিঙ্গাদের শুধু কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ায় সরানো হবে না তাদের জীবন ও জীবিকাও নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার কক্সবাজারে এক অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক একথা জানান।
রোহিঙ্গা সমস্যাকে একটি মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পর্যটন শহর কক্সবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ঠেঙ্গারচরে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
“ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গাদের শুধু সরানো বা পুনর্বাসন নয়; জীবন-জীবিকাও নিশ্চিত করা হবে।”
আর যতদিন মিয়ানমার সরকার মানবিক বিপর্যস্ত এসব মানুষকে ফেরত নেবে না ততদিন বাংলাদেশ সরকার মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।
শহরের কলাতলীতে একটি সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন ও সংস্কারকাজের উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে উত্তর দেন।
কাদের বলেন, কক্সবাজার একটি পর্যটন নগরী। এখানে সারা বছরই দেশি-বিদেশি পর্যটকের আনা-গোনা থাকে। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক অবস্থান করছেন।
“নতুন করে আসারাও এখানে আশ্রয় নিলে অতিরিক্ত রোহিঙ্গাদের কারণে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই সরকার রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের নির্মাণকাজ শেষে আগামী এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন ।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে কক্সবাজার -৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ফোরকান আহমদ, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন ও সওজের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়াসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা এবং প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন।
নিজ দেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা কক্সবাজার ও বান্দরবানের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের ৯ অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জাতিগোগোষ্ঠীর অন্তত ৬৬ হাজারের বেশি শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
মিয়ানমার থেকে সম্প্রতি পালিয়ে আসা প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে ঠেঙ্গারচরে পুনর্বাসন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এর আগে ২০১৫ সালে প্রথম ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব উঠলে তা মানবাধিকারকর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়ে এবং বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ প্রস্তাবটিতেকে অবাস্তব বলেছিলেন বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।