সকালে মতিয়ার রহমানের ধ্রুপদি যন্ত্রসংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে বসন্ত উৎসবের শুরু হয়। তিনি রাগ ভৈরবী পরিবেশন করেন। যন্ত্রের বাদন শেষে শাস্ত্রীয় সংগীত উপস্থাপন করেন অসিত রায়। তিনি গেয়ে শোনান বসন্তভিত্তিক ধ্রুপদি রাগ। ঋতুরাজকে স্বাগত জানিয়ে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী গেয়ে শোনায় ‘আয়রে বসন্ত নবীন পাখা মেলে’। এরপর উপস্থাপিত হয় সাঁওতালি নাচ। মাদলের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করেন চার সাঁওতাল তরুণ-তরুণী।
‘কোন গহিনে ফুটে চম্পা’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে ‘কাদা মাটি’। তামান্না রহমানের নির্দেশনায় ‘বসন্ত এসে গেছে’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যম। রবীন্দ্রনাথের ‘শেষ বসন্ত’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাহিম হোসেন চৌধুরী গেয়ে শোনান ‘অলি বারবার ফিরে আসে যায়’। ‘আমার মল্লিকা বনে’ গেয়ে শোনান বুলবুল ইসলাম। ‘জাগাও জাগাও গানের সুরে’ নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যনন্দন। ‘বসন্ত এল এল রে’ পরিবেশন করে গানের দল সুরসপ্তক। ‘বসন্ত বর্ণন’ শীর্ষক মণিপুরি নাচ পরিবেশন করেন ওয়ার্দা রিহাব ও তাঁর দল ধৃতি নর্তনালয়।
পরে একক গান পরিবেশন করেন বিমান চন্দ্র বিশ্বাস। নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে পূজা সেনগুপ্ত। ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’ গানটি গেয়ে শোনান বুলবুল ললিতকলা একাডেমি। ‘আহা আজি এ বসন্ত’ পরিবেশন করে নৃত্যাক্ষ। রাঙামাটি থেকে আসা অন্তর দেওয়ান ও তার দল আদিবাসী নৃত্য পরিবেশন করে।
চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে ‘বসন্তবরণ’: চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বসন্তবরণ’ অনুষ্ঠান ‘গানে গানে সকাল শুরু’। এতে গান করেছেন জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও তাঁর সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুরের ধারার শিল্পীরা। নাচ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সকালে ‘ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল’ গানটির মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর একে একে ‘ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে’, ‘ফাগুনের শুরু হতে শুকনো পাতা গেল ঝরে’, ‘ধীরে ধীরে বও ওগো উতল হাওয়া’, ‘আকাশ আমায় ভরলো আলোয়’ গানগুলো পরিবেশন করেছেন শিল্পীরা। এ সময় মঞ্চে আসেন অভিনেতা আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মৌসুমি বড়ুয়া।
আফজাল হোসেন বললেন, ‘এ রকম সকাল আর বন্যা যদি গায়, তাহলে কে কথা শুনতে চায়! আসুন, আমরা বন্যার গান শুনি। আবার গানের মাঝে মাঝেই নানান প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন তাঁরা। গান আর কথার মাঝে ছিল আবৃত্তি ও নাচ। আবৃত্তি পাঠ করেছেন হাসান আরিফ।