খােলা বাজার২৪, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: কামরুল ইসলাম রাব্বী। বাংলাদেশের একজন পেসার। তবে ব্যাট হাতেও তিনি যে দক্ষ তার প্রমাণ নিউজিল্যান্ড সিরিজেই দিয়েছেন। মাত্র ৬৩ বল খেলে ২ রান করে সবচেয়ে বেশি বলে কম রান করার রেকর্ড গড়েছিলেন রাব্বী।
ভারতের মাটিতেও তার সেই ধৈর্যশীল ব্যাটিং দেখা গেল। যেটা স্বীকৃত ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার বা সাকিব আল হাসানদের মাঝে দেখা যায়নি।
টেস্ট হল সেশন বাই সেশন খেলা। ধৈর্য ধরে উইকেটে টিকে থাকতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মাঝে সেই ধৈর্যশীল কোনো ইনিংস দেখা যায়নি।
বাংলাদেশের টেস্ট খেলা দেখলে মনে হয় যেন তারা ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন। তাড়াতাড়ি রান না করতে পারলে হেরে যেতে হবে এমন ধারণা নিয়েই ব্যাট করতে থাকেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
প্রথম ইনিংসে সাকিব আল হাসান ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করেন। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হন তিনি। অথচ উইকেটে তার টিকে থাকাটা খুবই জরুরি ছিল।
দ্বিতীয় ইনিংসে সৌম্য সরকার যেভাবে ব্যাট করলেন কোনোভাবেই সেটা টেস্ট মেজাজের ব্যাটিং হতে পারে না। চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার কয়েক ওভার আগে আউট হন সৌম্য।
এছাড়া মুমিনুল, সাকিব, মুশফিক সবাই ধৈর্যহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বীর ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে তিনিই শুধু টেস্ট খেলছেন।
বাংলাদেশের হাতে এই ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচটি ড্রয়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা যেভাবে আউট হয়েছে তাতে সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে।
কামরুল ইসলাম রাব্বী প্রথম ইনিংসে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। তবে মুশফিক আউট হয়ে যাওয়ার কারণে মাত্র ১০ বল খেলার সুযোগ পান রাব্বী। তবে ১০ বল খেলে তিনি কোনো রান করেননি।
দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট বাঁচানোর জন্য রাব্বীকে আগেই মাঠে নামানো হয়। তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছেন। যেটা স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা করতে পারেননি। টেস্ট ম্যাচ কীভাবে খেলতে হয় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন রাব্বী।
৭০ বল খেলে ৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন রাব্বী। ১১ দশমিক ৪ ওভার তিনি একাই খেলেছেন। তার ব্যাটিংয়ের ধরন দেখে মনে হয়েছে যোগ্য সঙ্গী পেলে হয় তো দিনের বাকি সময়টা পার করে দিয়ে আসতেন।