খােলা বাজার২৪, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: তিস্তা ও পদ্মায় ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহার এবং শুস্ক মৌসুমে নদীর নাব্যতা হ্রাস, বর্ষায় উজানের ঢলে ফসল হানি ও দিন দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ নির্ভর ফসল বিশেষ করে দান চাষে ব্যয় বাড়ায় দিনাজপুরে চাষিরা লোকসানে পড়ছে। তাই কমছে ধান চাষ। বন্যা, খরা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় বিকল্প ফসল চাষের দিকে ঝুকছে এ অঞ্চলের কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে গত বোরো মৌসুমে দেশে দেড় লাখ হেক্টরে ধান চাষ কমেছে। এতে উৎপাদন কমেছে ৩/৫ লাখ মেট্রিকটন। ফলে স্বল্প সেচে বাড়ছে ভুট্টা চাষ। ধান, আলু এর চেয়ে ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে দিনাজপুর জেলার কৃষক। উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ, প্রশিক্ষণ, উপকরণ ও আর্থিক সহায়তায উৎপাদন হচ্ছে দ্বিগুন। খরচের চেয়ে লাভ দ্বিগুন পাওয়ায় বাড়ছে চাষ। ৫ বছরে ৬ গুন হয়েছে উৎপাদন। প্রতি মনের দাম ৭২০ টাকার বেশি হওয়ায় ভুট্টা চাষে সুদিন ফিরছে দিনাজপুর জেলার কৃষকের। বার বার একই জমিতে একই রকম সেচ নির্ভন ফসল চাষে পানির বেশি ব্যবহারে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া এবং মাটির গুনাগুন, খনিজ পদার্থ কমে যাওয়ায় ফসল হানি ও উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। একজন কৃষিবিদ জানান, প্রতি বিঘা ধান চাষে পানি সেচ লাগে ৩হাজার লিটারের উপরে সেখানে এক বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে পানি সেচ ৫০০ থেকে ৭০০ লিটার। কৃষি নির্ভর দিনাজপুর জেলার দারিদ্র সবচেয়ে বেশি। দেশের দারিদ্র্যের হারের চেয়ে ১০ ভাগ বেশি। মাথা পিছু আয়ও কম। অকৃষি খাতে কর্মসংস্থান খুবই কম ও প্রবৃদ্ধিও কম।