Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ : 85মেধা তালিকায় থাকা সাধারণ প্রার্থীদের নিয়োগের মাধ্যমে ৩৫ ও ৩৬তম বিসিএসে প্রার্থী না পাওয়া কোটার শূন্য পদ পূরণ করা হবে। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপন করা দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি জানান, ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় কৃতকার্য কিন্তু ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত নয় প্রার্থীদের মধ্যে নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদ পূরণের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ সংক্রান্ত শর্ত শিথিল না করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্কেল অ্যাডজুটেন্টের ৩০২টি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডওয়াইফের (ধাত্রী) ৬০০টি পদ পূরণ করা যাচ্ছে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এজন্য মন্ত্রিসভা একবারের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ শর্ত শিথিলের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এ পদগুলোতে মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী না পাওয়ায় ৩৫তম বিসিএসে উত্তীর্ণদের মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হবে।’
তিনি জানান, ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন ক্যাডারে মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার অপূরণকৃত সংরক্ষিত পদ ৩৬তম বিসিএসের সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের শূন্য পদের সঙ্গে যোগ করে তা পূরণ করা হবে। এছাড়া প্রাধিকার কোটার অপূরণকৃত পদ সংরক্ষণের বিধান ৩৬তম বিসিএসের জন্য এককালীন শিথিল করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
শফিউল আলম আরও বলেন, ৩৬তম বিসিএসের ২ হাজার ১৮০টি শূন্যপদের মধ্যে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের জন্য এক হাজার ৬৩৮টি পদ আছে। এ পদগুলোর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার ৭৩৭টি পদের অধিকাংশই খালি থাকছে। তাই এ পদগুলো মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা প্রার্থীদের মাধ্যমে পূরণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
তিনি জানান, ৩৫তম বিসিএসের কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের অপূরণকৃত ৩৩৮টি পদ ৩৬তম বিসিএসের ২ হাজার ১৮০টি পদের সঙ্গে যোগ করে তা ৩৬তম বিসিএসের মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হবে।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রাধিকার কোটার অপূরণকৃত পদ সংরক্ষণের বিধান শুধু ৩৬তম বিসিএসের জন্যই শিথিল করা হয়েছে।’
বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে বেশিরভাগ পদই কোটার ভিত্তিতে পূরণ করা হয়। প্রথম শ্রেণীর চাকরির মাত্র ৪৫ শতাংশ পূরণ হয় মেধার ভিত্তিতে। বাকি ৫৫ শতাংশই পূরণ করা হয় কোটার ভিত্তিতে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, মহিলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা ৫ শতাংশ এবং জেলা কোটা বা সাধারণ কোটা ১০ শতাংশ। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে পদ খালি রাখার বিধান রয়েছে।