
বিশিষ্ট নাট্যকার গিয়াস উদ্দিন সেলিম ২০০৯ সালে মনপুরা সিনেমা করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। সেই মনপুরার ৫হাজার সংখ্যালঘু পরিবার নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনেককে আশ্রয়হীন হতে হচ্ছে, নারী ও শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি সম্প্রতি একটি প্রতিনিধি দল মনপুরা উপজেলায় বিভিন্ন সংখ্যালঘুদের সাথে কথা বলে জানতে পারেন তাদের নির্যাতন ও আশ্রয়হীনের কথা।
তাদের বিরুদ্ধে কারা এমন কঠোর ও নির্যাতন করছেন সে বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সাথে নিয়ে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় তৃণমুল নাগরিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সাথে নিয়ে নাগরিক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, নাসিরনগরের নির্যাতনের কথা আমরা এখনো ভুলিনি। ভুলতে পারিনি গাইবান্ধার সাঁওতালদের কথা।
সারাদেশে সংখ্যালঘুদের মন্দির ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে সে কথাও আমাদের স্মৃতিপটে এখনো ভেসে আছে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি হচ্ছে মনপুরা। দ্বীপ জেলা ভোলার বিচ্ছিন্ন একটি উপজেলা মনপুরা। এখানে গণমাধ্যমের সেইভাবে এখনো প্রবেশ নেই। ইচ্ছা করলেই সব খবর মুহুর্তেই এখনো প্রকাশ করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎও সবসময় থাকে না। সেখানকার মানুষের অসহায়ত্বের কথা সেভাবে সংবাদপত্রে এখনো তুলে ধরা হয়নি।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের আধিপত্য রক্ষার জন্য প্রায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সেই সব বিচ্ছিন্ন কথা মাঝে মাঝে পত্রিকার পাতায় আংশিক উঠে আসে। আমরা আশা করবো মনপুরা উপজেলার দিকে প্রশাসনসহ গণমাধ্যম সুদৃষ্টি দেবে। অসহায় পরিবারগুলো আবার আশ্রয় পাবে। হরিণসহ জলজ প্রাণি যেভাবে অবাধে বিচরণ করে সেভাবেই যেন সংখ্যালঘু মানুষরা তাদের পরিবার নিয়ে বিচরণ করতে পারে। এই আমাদের প্রত্যাশা।