Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

23kখােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০১৭: দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে সোমবার খাগড়াছড়ি জেলার নবগঠিত গুইমারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ইউপিডিএফ সমর্থীত স্বতন্ত্র প্রার্থী উশ্যেপ্রু মারমা বেসরকারিভাবে উপজেলার সর্বপ্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৯৫।

চেয়ারম্যান পদের অপর দুই প্রার্থী আওয়ামীলীগের মেমং মারমা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৬৯ ভোট ও বিএনপির মো: ইউচুপের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৩ হাজার ৮৫৫। বেসরকারিভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির পুণ্য কান্তি চাকমা। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৭৮ ভোট। অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের মো: নুরুন্নবী পেয়েছেন ৩ হাজার ৭১, স্বতন্ত্র প্রার্থী থোয়াই অংগ্য চৌধুরী ৪ হাজার ৬৬৮ ও মিল্টন চাকমা ২ হাজার ৫১২ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ঝর্ণা ত্রিপুরা ৮ হাজার ১৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর অপর প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির হ্লাউচিং মারমা পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৯৪ ভোট।

সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচনী কন্ট্রোল রুম থেকে রিটার্নীং অফিসার ও খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক)এটি এম কাউছার হোসেন ভোটের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।

এদিকে, বেসরকারিভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা ফলাফল ঘোষণার পর অভিমত প্রকাশ করে বলেন, ‘অত্যন্ত শান্তিপুণ ও অবাধ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নব গঠিত নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং অফিসারসহ নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারি সকল কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্র্যাব, পুলিশ ও আনসার ভিডিপির সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া সাংবাদিকদের প্রতিও কৃতজ্ঞ।’

উপজেলার সকল ভোটারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়নে ও মানুষের কল্যাণে তিনি এবার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।

সোমবার সকাল ৮টায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ১৪টি কেন্দ্রের ৯৮টি বুথে যথারীতি ভোট গ্রহণ শুরু করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। কিন্তু সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টির দরুণ ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারেননি। এই বৈরী আবহওয়ার কারণে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্র অনেকাংশে ভোটার শূন্য ছিল। ফলে এজেন্টসহ দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা অলস সময় কাটান।

নির্বাচনে ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে তিন স্তরের বাহিনী বেষ্টনী ছিল। ১১ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের পাশাপাশি ৩ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের দুটি বিশেষ টিম, পুলিশ বাহিনীসহ আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়া প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকাগুলোতে সেনা বাহিনীর টহল দিতে দেখা গেছে।

নির্বাচনে কোথাও বড় ধরণের কোন অঘটন ঘটেনি। তবে ভোট গ্রহণের শেষ সময়ে বিকালে হাফছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় বিএনপির তিন কর্মী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া সরকারী দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দিনব্যাপী বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা ও বিএনপির কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া অভিযোগ করে দলটি। তবে এ অভিযোগ সত্য নয় বলে জানায় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।