খােলা বাজার২৪।। শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০১৭: আগামী পহেলা জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের কার্যক্রম। ফলে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় রাজস্বআয় বাড়াতে ও রাজস্ব-ফাঁকি কমাতে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদকাল বাড়ছে।
এরই মধ্যে জাতীয় রাজস্ব রোর্ড (এনবিআর) থেকে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পটির মেয়াদ ও ব্যয়বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এনবিআর-সূত্রে জানা যায়, ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পে ৫৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করার পরও নতুন করে আরও ১৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায়। পাশাপাশি প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৮ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০২০ সাল করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প প্রস্তুতি কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ-মুহূর্তে সিস্টেমের পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ চলছে। খুব শিগগিরই পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটির ব্যয়বৃদ্ধির প্রস্তাবটি অনুমোদন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা ।
প্রসঙ্গত, কয়েকটি উদ্দেশ্যে নিয়ে নতুন ভ্যাট আইনটি প্রণয়ন করা হয়। এগুলো হচ্ছে, সরকারি-বেসরকারি খাতে রাজস্ব আদায় বাড়ানো ও ভ্যাট আইন ব্যবসাবান্ধব করা, রাজস্ব ফাঁকি চিহ্নিতকরণে এনবিআরের সক্ষমতা বাড়ানো, ভ্যাট-প্রশাসনকে আরও আধুনিক সুশৃঙ্খল ও সেবাধর্মী করা, জ্ঞানভিত্তিক ভ্যাট প্রশাসন প্রতিষ্ঠা, শিল্পায়নের প্রসারে সহায়তা করা, সরকারি-বেসরকারি খাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সার্বিক দক্ষতা বাড়ানো এবং বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করার মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানো।
জানা যায়, জাতীয় সংসদে ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)ও সম্পূরক শুল্ক আইন পাস করা হয়। এরপর নতুন আইনটি বাস্তবায়নে ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর একনেক-এ (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের অনুমোদন পাশ হয়। ওই সময় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০১ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং বাকি ৪৪৯ কোটি টাকার জোগান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। আর মেয়াদের সময়সীমা করা হয় ২০১৮ সাল পর্যন্ত। কিন্তু ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ আরও ১৩৮ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।