খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ১১ মার্চ ২০১৭: সাভারে ২ নং কলমা এলাকায় একটি তৈরী পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসার দখল নিয়ে শনিবার দুপুরে যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছে।
মানারাত নীটওয়্যার লিমিটেড কারখানার মালিক আলমগীর কবীর জানান, সাভারের ২ নং কলমা এলাকায় অবস্থিত মানারাত নীটওয়্যার লিমিটেড কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে সাভার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান যুবলীগ নেতা সোহেল রানার সমর্থিত মোহন গ্রুপের লোকজন ঝুট নিয়ে ব্যবসা করছিল। গতকাল শনিবার দুপুরে বিরুলিয়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা সেলিম মন্ডলের লোকজন জোর করে ঝুট বের করে নিতে আসে। এসময় আমি বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সোহেল রানাকে জানাই। পরে সোহেল রানার লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যুবলীগ নেতা সোহেল রানা বলেন, যে কারখানাটিতে ঝুট নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে সেটি আমার সাভার সদর ইউনিয়নের ২ নং কলমায় অবস্থিত। কিন্তু বিরুলিয়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা সেলিম মন্ডল এর আগেও কয়েকবার আমার লোকজনকে ব্যবসায় বাঁধা দিয়ে ঝুট নেয়ার চেষ্টা করে। শনিবার দুপুরে আমি এলাকায় না থাকার সুযোগে তারা অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই কারখানার ঝুট ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাকে বিষয়টি অবহিত করলে আমি তাৎক্ষনিক থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। এদিকে খবর পেয়ে আমার লোকজন ঝুট নিতে বাঁধা প্রদান করলে সেলিম মন্ডলের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এলাকার কয়েকজন ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করে । একপর্যায়ে দুগ্রুপে সংঘর্ষ বেধে যায়। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে রাজু (৩০) নামে একজনকে মুমুর্ষ অবস্থায় সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদেরকে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। তবে বিষয়টি জানতে যুবলীগ নেতা সেলিম মন্ডলকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এব্যাপারে সাভার মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, ঝুট নিয়ে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।