খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭: নোয়াখালী সদর উপজেলার সোনাপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক রোডের মাথায় সুবর্ণ সুপার সার্ভিসের মালিক সমিতির সামনে দীর্ঘদিন ধরে চলছে রাস্তা দখল করে ভাঙারি ব্যবসা। ফলে এ সড়কে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হয়ে জনর্দূভোগ দেখা দেয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোনাপুর জিরোপয়েন্টের যানজটের প্রধান কারণ রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এসব বাহনগুলো যত্রতত্র যেখানে-সেখানে স্ট্যান্ড করার কারণে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে না।
অপরদিকে বাসস্ট্যান্ডের মুখে অর্থাৎ লিঙ্ক রোডের মাথায় যানজট দূর করা যাচ্ছে না যত্রতত্র গাড়ি রাখা এবং রাস্তার উপর স্তূপাকারে ভাঙারি মালামাল রাখার কারণে। এছাড়াও এসব ভাঙারি মালামাল রাস্তার ওপর ফেলে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে সোজা অথবা চ্যাপ্টা করার কারণে রাস্তার দীর্ঘস্থায়ীত্বে আঘাত পড়ছে। আর এসব ভাঙারি মালামালের ট্রাক রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে লোড-আনলোড করার সময় যানজট আরো প্রকট আকার ধারণ করে। যার কারণে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মালবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়িসহ সাধারণ জনগণ, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের বহনকারী গাড়িগুলোকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় সেনাবাহিনীর গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। দেশমাতৃকার সেবায় নিয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনীর এভাবে সময় নষ্ট করা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।
সোনাপুরে বেশ কিছু ভাঙারি দোকান গড়ে উঠেছে। এসব ভাঙারি দোকানের সঙ্গে জড়িতরা বেশিরভাগই বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত। বিশেষ করে টোকাই জাতীয় কিছু লোক আছে- যারা মানুষের বাসাবাড়িতে ঢুকে ভাঙারি মালামাল খুঁজে নিয়ে এসে দোকানগুলোতে বিক্রি করে। সুযোগ বুঝে এরা মানুষের ঘরে ঢুকে চুরিও করে থাকে। এসব টোকাইরা বিভিন্ন স্থান থেকে লোহালক্কড় চুরি করে থাকে। বিশেষ করে রেললাইনের নাট-বল্টুসহ ক্ষেত্রেবিশেষে স্লিপার পর্যন্ত চুরি করে নিয়ে আসে। কথিত আছে- এসব চুরির সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত জেলায় অবস্থিত ভাঙারি ব্যবসায়ীরা।
জনগুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তার মুখে পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে (যে ভবনটি জনতা ব্যাংক সোনাপুর শাখা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বলে স্থান পরিবর্তন করে) রাস্তা দখল করে প্রকাশ্যে দিবালোকে ভাঙারি ব্যবসা করে যাচ্ছে, অথচ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে। যা সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। আর ভাঙারি দোকানের মালামাল ও রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা তাদের ট্রাকের কারণে জিরোপয়েন্ট থেকে আসা ছোট ছোট যানবাহনগুলো রশিদ কোল্ডস্টোরের মুখে ডানে বাঁক নিতে গেলেই দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে স্থানীয়রা জানান। আরো জানা যায়, এ ভাঙারি দোকানের মালিক জনৈক মোস্তফা।
এছাড়াও বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা থেকে কুড়িয়ে আনা এসব ভাঙারি মালামাল পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি। কারণ বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতাল থেকে কুড়িয়ে আনা মারাত্মক প্রাণঘাতী ছোঁয়াচে রোগ সম্বলিত সিরিঞ্জ, স্যালাইনের খালি ক্যানসহ বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা থেকে আনা প্লাস্টিক সামগ্রীর জীবাণু বাতাসের মাধ্যমে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সে সাথে আবাসিক এলাকায় ও রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা এসব ভাঙারি দোকানের রোগ-জীবাণু মানুষের শরীরেও ঢুকে মানুষকে অসুস্থ করে তুলছে।
এ ব্যাপারে নোয়াখালীর মাটি ও মানুষের নেতা, সদর-সুবর্ণচরের প্রিয় মানুষ জননেতা আলহাজ্ব একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, রাস্তাটি যেহেতু পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত তাই পৌর মেয়র শহিদ উল্যা খাঁন সোহেল এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী জনগণ।