খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭: দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একটানা পাঁচ কার্যদিবস সূচক বাড়ার পর ষষ্ঠ দিনে কমেছে সূচক। গত সপ্তাহের চার কার্যদিবস আর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচক বেড়েছে। গত পাঁচ কার্যদিবসে সূচক বেড়েছে ১০৩ পয়েন্ট। তবে চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে গতকাল সোমবার দুই বাজারেই কমেছে সূচক ও লেনদেন। একই সঙ্গে কমেছে বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে ব্যাংক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে লেনদেন বেড়েছে। আর অন্যসব খাতেই শেয়ার লেনদেন কমেছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ব্যাংক খাতে। গত বছরের অর্থাৎ ২০১৬ সালে আর্থিক হিসাব বছর শেষে ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যগুলোও লভ্যাংশ ঘোষণা করবে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আর্থিক খাতের ব্যাংকগুলোর হিসাব বছর শেষে লভ্যাংশ ঘোষণার সময় হওয়ায় শেয়ার লেনদেন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে শেয়ারের দামও। কোনো কম্পানির শেয়ারে চাহিদা বাড়লে আর জোগান কম থাকলে দাম বাড়ে। কাজেই লভ্যাংশ প্রদানকে কেন্দ করে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনছে আর যারা আগে শেয়ার কিনেছে তাদের মুনাফা হওয়ায় শেয়ার বিক্রি করছে।
গতকাল সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার এক কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আর মূল্যসূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ২৮৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা আর সূচক বেড়েছিল ৪ পয়েন্ট। সেই হিসাবে লেনদেন কমেছে প্রায় তিন শ কোটি টাকা।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আর সূচক কমেছে ১৯ পয়েন্ট। সোমবার লেনদেন হওয়া ২৫৬ কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ১৩২টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২ কম্পানির শেয়ারের দাম।
চার কম্পানির রেকর্ড ডেট : লভ্যাংশ প্রদানে কম্পানির শেয়ারগ্রাহক চিহ্নিত করতে আজ পুঁজিবাজারের চার কম্পানির রেকর্ড ডেট। অর্থাৎ আজ মঙ্গলবারের আগের দিন পর্যন্ত যেসব বিনিয়োগকারী কম্পানির শেয়ার কিনেছে তারাই লভ্যাংশ পাবে। তবে কারা কারা শেয়ারগ্রাহক সেটি চিহ্নিত করতেই এই রেকর্ড ডেট। রেকর্ড থাকা কম্পানি হচ্ছে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, আইডিএলসি ফিন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও প্রাইম ইনস্যুরেন্স লিমিটেড।
পূবালী ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা : পূবালী ব্যাংক লিমিটেড শেয়ার গ্রাহকদের জন্য ১৩ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ আর ৮ শতাংশ বোনাস।