খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ১৮ মার্চ ২০১৭: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়মের ছমেদ নগর গ্রামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জঙ্গী হামলা ,ভাংচুর ,লুটতরাজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অবমাননাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও সংস্কৃতি বাউল শিল্পীদের উদ্যোগে শহরের উকিলপাড়াস্থ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্র মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগীদের স্বজন মোঃ মোবারক হোসেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন গত ১৬ ফেব্রুয়ারী রাতে বাউল শিশু শিল্পী আলফা আক্তার জুই,বাউল শিল্পী মহিবুর রহমান তালুকদার ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেবি মুর্শেদ জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে স্থানীয় ছমেদ নগর গ্রামে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল । ঠিক এই সময়ে ছমেদ নগর গ্রামের মৃত রুশমত আলীর ছেলে আব্দুল করিম ও হিলফুল ফুজুল ইসলামি সংগঠনের নামে আব্দুল করিমের পূত্র মাওলানা জুলহাস মিয়ার নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধীরা ঐ অনুষ্ঠানে গিয়ে শিল্পীদের নিকট ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করলে শিল্পীরা চাদাঁ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিন্তু জুলহাস তার সঙ্গীরা এ সময় মঞ্চে হামলা চালিয়ে শিশু শিল্পী আলফা আক্তার জুইসহ বাউল শিল্পীদের মঞ্চে উঠে ভাংচুর চালায়, শিল্পীদের মারধর করে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি টেনে ছিড়ে ফেলে। এ ঘটনায় মৃত আব্দুল মনাফের পূত্র বাউল শিল্পী আব্দুল কাইয়ূম ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারী তারিখে নিজে বাদি হয়ে হামলাকারী জুলহাস মিয়া,তাহের মিয়ার পূত্র মোঃ হারুণ মিয়া,আমির মিয়ার পূত্র বুলবুল মিয়া,ওয়াজিদ মিয়ার পূত্র আতিক মিয়া,আশরাফ আলীর পূত্র জুয়েল মিয়া,আব্দুর রাজ্জাকের পূত্র রফিক মিয়া,মোবারক হোসেনের পূত্র আশরাফ আলী , আকবর আলীর পূত্র দেলোয়ার হোসেন ও মৃত আব্দুল শহীদের পূত্র খোকন মিয়াগংদের আসামী করে নাম সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ও পুলিশ সময় কালক্ষেপন করেন। অবশেষে গত ০৮/০৩.১৭ ইং তারিখে পুলিশ মামলাটি আমলে নেন। যার মামলা নং-০৬। অবিলম্বে ঐ সমস্ত হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিকট জোর দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাউল মহিবুর রহমান, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেবি মুর্শেদ জাহাঙ্গীর, নুরুল আমীন,খাইরুল ইসলাম, কারী বাউল আমিরুল ইসলাম, নেছার আহমদ শফিক, আব্দুল হেকিম ,মানিক,ইদ্রিছ আলী ও জালাল প্রমুখ।