খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে দিনে সার্কাস চললেও রাতে অশ্লীল নৃত্য,হাউজি ও জুয়াখেলা চলছে।পাশা পাশি বসছে মাদকের আসরও। গত এক সপ্তাহ ধরে পুলিশকে দৈনিক বখরা দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী জুয়ারিরা এসব চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল,সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের ইদ্রাকপুর বাজারের ১০০ গজ দক্ষিন পাশে প্রায় দুই একর জায়গায় বিশাল প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে।সেখানে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত তিনটি শো’তে সার্কাস চালানো হয়।রাত দশটার পর থেকে ওই প্যান্ডেলে বসানো হয় হাউজি,জুয়া ও মাদকের আসর।আর রাত বারটা থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত চলে নাইট শো।নাইট শো’র প্রতি টিকিটের মুল্য নেয়া হয় ২০০ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আয়োজক বললেন, স্কুল কলেজের ছাত্র ও উঠতি বয়সের যুবকদের জন্য নাইট শো’র আয়োজন করা হয়েছে।এছাড়া শিশু ও বিভিন্ন বয়সের পুরুষ-মহিলাদের জন্য সকাল থেকে সাকার্স চালানো হচ্ছে।
বনগ্রাম এলাকার কলেজ ছাত্র সানোয়ার মিয়া বলেন,আমার এক বন্ধুর সাথে শুক্রবার নাইট শো দেখতে গিয়েছিলাম।বগুড়া থেকে নাইট ক্লাবের দশজন নর্তকি এখানে আনা হয়েছে।টিকেটের দাম ধরা হয়েছে দুইশ টাকা। কিন্তু আধা ঘন্টা দেখার পর আর সেখানে থাকার মত পরিবেশ ছিলনা।তাই বেড়িয়ে আসি।
বনগ্রাম এলাকার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, উঠতি বয়সের যুবকরা ধান চাল সোনার গহনা,জায়গা জমি বিক্রি করে জুয়া খেলে নিঃস্ব হচ্ছে।আবার অনেকে জুয়ার টাকা যোগাতে চুরি,ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে।এই সুযোগে জুয়ারিরা পুলিশের সাথে যোগসাজসে এসব চালিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
দি গ্রেড রওশন সার্কাস পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাদুল্লাপুর পাবলিক লাইব্রেরী এন্ড ক্লাবের সভাপতি মোঃ রেজা প্রামানিক দাবি করে বলেন,স্থানীয় থানা পুলিশ, প্রশাসন, সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতা সবাইকে ম্যানেজ করেই এসব চালাচ্ছি।
বখরা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ ইমরুল কায়েস মুঠোফোনে বলেন,ইদ্রাকপুরে সার্কাস ও হাউজি চলছে। জুয়া এবং নাইট শো চালানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।