খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭: পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘দুর্নীতির মিথ্যা গল্প’ এর পিছনে ‘প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের’ বিষয়ে তদন্তে কমিটি বা কমিশন গঠনে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আগামী ৯ মের মধ্যে জানতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জারি করা এক রুলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, রুলের বিবাদী মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, যোগযোগ সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও আইজিপিকে আগামী ৯ মের মধ্যে এবিষয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে একই বেঞ্চ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই রুল জারি করে। রুলে আরও জানতে চাওয়া হয়েছে, ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ১৯৫৬ সালের ইনকোয়ারি অ্যাক্টের তৃতীয় অনুচ্ছেদসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন অনুযায়ী কমিটি বা কমিশন গঠনের নির্দেশ দেওয়া হবে না কেন।
ওই দিন বিবাদীদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি কমিটি বা কমিশন গঠনে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেয় আদালত।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের জন্য বিশ্ব ব্যাংক চুক্তি করেও দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে। পরে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
দুর্নীতির ওই ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করেন সেই সময়ের যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন। সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল। একই মামলায় তখনকার সেতু সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে কারাগারেও যেতে হয়।
তবে তদন্তের পর দুদকের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপর ২০১৪ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশে পদ্মা দুর্নীতি মামলার অবসান ঘটে। আদালত সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ সাত আসামির সবাইকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন।