খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭: গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ভিকারটেক নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে সহকারি শিক্ষক আঃ বারিক মিয়াকে চাকুরি থেকে অব্যহতির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বেতন না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওই শিক্ষক। বেঁচে থাকার তাগিদে চাকুরি ফিরে পেতে দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছে, ঘুরছে অফিস থেকে অফিসে।
শিক্ষক আঃ বারিক চাকুরি ফিরে পেতে এ বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গত বছর ১২ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামের মৃতঃ তাহেরের ছেলে আঃ বারিক ২০০৩ সালে সহকারি শিক্ষক (ইংরেজি) হিসেবে নিয়োগ পায় যা ২০০৯ সালে এমপিও ভুক্তি হয়। তিন মাস বেতন পাওয়ার পর বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক কতিপয় লোকের জোকসাজসে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বেতন ভাতা স্থগিত করে দেয়। প্রধান শিক্ষক বিধি বহির্ভূত ভাবে দালালের মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং জেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে ২০১৪ সালে আমাকে প্যাটার্ণ দেখিয়ে ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়। নিয়োগ দেওয়া শিক্ষকদের নিবন্ধন সনদ নেই। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে অবৈধ শাখা দেখানো হয়।
শিক্ষক আঃ বারিক মিয়া জানান, একযুগ ধরে শিক্ষকতা করে ৩ মাসের বেতন পেয়েছি। মা, স্ত্রী ও ৩ মেয়েসহ মানবেতর জীবন যাপন করছি। কতৃপক্ষকে সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য অনুরোধ জানাই। তিনি আর ও বলেন, এই বিদ্যালয়ে এইচ এস সি পাস করে বিএড স্কেলে বেতন পাচ্ছে এক শিক্ষক। নিবন্ধন সনদ ছাড়া চাকুরি করছে একাধিক শিক্ষক। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিবন্ধন প্রাপ্ত শিক্ষককে সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক বানিয়ে এমপিও ভুক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। অথচ আমি বিএসএস, বিএড, সার্টিফিকেট কোর্স (ইংরেজি) করেও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. সরুজ আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি মুখ খুলতে রাজি হননি।
বিদ্যালয়ের ধর্মীয় বিষয়ে সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ ফাইজ উদ্দিন জানান, শিক্ষক আঃ বারিক এমপিও ভূক্তি হইছে। কয়েকবার বেতনও পাইছে। বারিক স্যার এখন বেতন পাননা। আমরা তাঁর জন্য হেড স্যারকে বলেছি। হেড স্যার বলে শিক্ষক বারিকের ভাগ্য ভালো না। তবে স্যার বলছে, স্যার ও তাঁর জন্য চেষ্টা করছে।
প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনকে তাঁর মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি মফিজ উদ্দিনকে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি লাইন কেটে দেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ভিকার টেক নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনের জন্য চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগই করা যাচ্ছেনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রকিব হাসান বলেন, শিক্ষক আঃ বারিক এর চাকুরির বিষয়টি আমি দেখছি। বিষয়টি ভালোভাবেই দেখব। কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোকছেদুল ইসলাম জানান, আমি শিক্ষক আঃ বাকির এর অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।