খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ২৭ মার্চ ২০১৭: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, ব্যাংকিং খাতের দুনীতি নির্মূলে সরকার দ্বিধান্বিত। দুর্নীতি রোধে সরকার কাজ করলেও একটি অংশ দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করছে।
হলমার্ক, বেসিক ব্যাংক ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের অর্থ আত্মসাৎ দেশের আলোচিত ঘটনা। এই তিনটি ঘটনায় প্রায় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া ঋণের টাকা আত্মসাতের ঘটনাও ঘটছে অহরহ। দেশের আর্থিকখাতকে শৃঙ্খল করতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জানিয়েছেন, অর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার সংস্কার কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অবস্থায় ব্যাংকিং খাত বেশ নাজুক অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে।
২০১৫ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫১ হাজার ৩৭১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ১৭২ কোটি টাকা এবং ২০১৭ সালের মার্চে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। ব্যাংকিং খাতের এই নাজুক অবস্থায় চিন্তিত সরকার।
আর্থিক কেলেঙ্কারী রোধে আইনি ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করছে দুদক। কিন্তু তথ্য প্রমাণের অভাবে অনেক দুর্নীতিবাজকে ধরা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর হবার ঘোষণা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি অংশ দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করছে বলে মনে করছে টিআইবি। তাই আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নীতিগত সংস্কারের বিকল্প নেই বলে মনে করে বিশ্লেষকরা। ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি