খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৭: কুমিল্লার লাকসাম-মনোহরগঞ্জ দীর্ঘ ১২ কিঃ মিঃ সড়ক উন্নয়নে বিগত ৪৬ বছরেও কাজ শেষ হয়নি। বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা এর উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ দিলেও চলছে হরিলট ও লুটপাটের মহোৎসব।
সড়কটির উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ এবং কাজের সঠিক মান নিয়ে জনমনে হরেক রকম কানা ঘুষা চলছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দে ৬ কিঃ ৪’শ মিটার সড়কের কাজ অনেক দিন যাবত অব্যবস্থাপনায় পড়ে রয়েছে। চলমান এ সড়কটির উন্নয়নের নামে বিনা প্রয়োজনে শত শত হরেক রকম গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে কার স্বার্থে এরমধ্যে আবার অসংখ্য তালগাছও রয়েছে এবং সড়কের দু’পাশের পুরানো শক্ত মাটি তুলে নতুন করে বালু ফেলে সড়কের দু’পাশ বড় করা কিন্তু নিয়ম বর্হিভূত। মূলকথা ওই সড়কের উন্নয়ন ঘিরে অনিয়ম ও দূর্নীতির মহোৎসব চলছে। গত ২০১৪/১৫ অর্থবছরে এ সড়কের উন্নয়নে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার করার প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয় জনৈক মিডিয়াকর্মীকে মারধরসহ লাঞ্চিত করেছে ঠিকাদারের ক্যাডার বাহিনী।
২০০৫ সালে ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে নব গঠিত মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর এ সড়কটির উন্নয়ন আরো তরান্বিত করতে দীর্ঘ ৪৬ বছর বিভিন্ন্ সরকার উদ্যোগ নিলেও রহস্যজনক কারনে মাঝ পথে থেমে যায়। ১৯৬৭-৬৮ সালে সড়কটির উন্নয়নে লাকসাম মোহাম্মদপুর পর্যন্ত ৩ কিঃ মিঃ ব্রিক সলিংয়ের কাজ শুরু হয়।এরশাদ সরকারের শাসনামলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম মোকছেদ আলী ১৯৮৪-৮৫ সালে সড়কটির উন্নয়নে মনোহরগঞ্জ বাজার থেকে গোয়ালিয়ারা পর্যন্ত ২ কিঃ মিঃ রাস্তা পাকা করনের কাজ শেষ করে ক্ষান্ত হন।
১৯৯২ সালে সাবেক এমপি এটিএম আলমগীর ক্ষমতায় আসলে সড়কটির উন্নয়ন ৫০ ভাগ কাজ শেষ না করতেই রহস্যজনক কারনে বন্ধ হয়ে যায় এ সড়কটির উন্নয়ন। ওইসময় এ সড়কের ১৬ টি ব্রিজ-কালভার্ট নির্মানের নামে চলে হরিলুট।এছাড়া অনেকস্থানে প্যালাসাইডিং, রিটানিং ওয়াল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ নিয়ে চলছিল তোঘলগি কারবার। ২০০৮-২০১৭ সালে বর্তমান স্থানীয় এমপি তাজুল ইসলাম সড়কটির উন্নয়নে বিপুল অর্থ বরাদ্দে কাজ শুরু করেছে। তবে ইট, খোয়াসহ বিভিন্ন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে সড়কটি মেরামতের কাজে।
এ বিষয়ে লাকসাম উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানায়, নিম্নমানের কোন সামগ্রী সড়কের কাজে ব্যবহৃত হলে অথবা সাইটে থাকলে এবং সড়কের দুপাশের গাছ কেটে নেয়া ও পুরাতন শক্ত মাটি তুলে নতুন বালু দিয়ে কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।