খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৭: জেসিকা চাকমা, রাঙ্গামাটি: রোববার জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে মারমা স¤প্রদায়ের সার্বজনীন সাংগ্রাই জলোৎসব। উৎসবে তৈরি হয় প্রানের উচ্ছ্বাস। সকাল থেকে অনুষ্ঠান স্থলে সমবেত হন মারমা স¤প্রদায়সহ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব স¤প্রদায়ের নারী-পুরুষ। মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থা আয়োজিত এ জলোৎসবের ঠিক দুপুর ১টায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এর পরপরই মারমা তরুণ-তরুণীরা মেতে ওঠে সাংগ্রাই জল উৎসবে। পাশাপাশি দিনভর নৃত্যসঙ্গীত পরিবেশন করেন, মারমা স¤প্রদায়েরর শিল্পীগোষ্ঠী।
এর আগে উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থার সভাপতি অংসউপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটির মহিলা এমপি ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান, ৩০৫ পদাতিক রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক, রাঙ্গামাটি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রোদেয়ান উল হক, জেলা পরিষদ সদস্য মো. মুছা মাতব্বর, রাঙ্গামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সাংগ্রাই-২০১৭ উদযাপন কমিটির আহবায়ক অংচা প্রু মারমা এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মংচিং মারমা ময়না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য শান্তিচুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, তার কারণে স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ উৎসবে শামিল হতে পারছে পাহাড়ের মানুষ। বাস্তবায়িত হচ্ছে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড।
উদ্বোধক সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, অতীতের সব দীনতা ছিন্নতা ধূয়ে মুছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।