অনিক চক্রবর্তী, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার কায়েতপাড়া গ্রামে জিয়াউর রহমান (৪০) নামে এক মৎস্য সমিতির নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দূর্বত্তরা। বুধবার সকালে পুলিশ গ্রামের একটি ধান ক্ষেতের ভিতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের সেলিম নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত জিয়াউর রহমান কায়েতপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি কায়েতপাড়া বাওড়ের মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বাওড়ের পাহাড়াদাররা ঠিকমত ডিউটি করছে কিনা তা দেখার জন্য প্রতিদিন রাতে জিয়াউর রহমান বাওড়ে যেতেন। প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বাওড়ের উদ্দেশ্যে বের হন। রাত ৩টার দিকে বাওড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১০/১২ জনের সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী দল তাকে পাশ্ববর্তী একটি ধান ক্ষেতে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে জিয়াউর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যায় সন্ত্রাসীরা।
খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন জানান, নিহত জিয়াউর রহমানের শরীরে ৫টি গুলি চিন্থ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বাওড় সংক্রান্ত বিরোধের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে সেলিম নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।