খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০১৭: ভারতের সাথে করা সামরিকসহ সকল চুক্তি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘প্রকাশ না করলেও ভারতের সাথে অনেক চুক্তি হয়েছে। তবে কোন চুক্তি আমাদের দেশের জন্য লাভবান, কোন চুক্তি ভারতের জন্য লাভবান সেটা তোমরা বিবেচনা করবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী এসব করে এসেছেন, সেহেতু এসবের বিরুদ্ধে আমার কথা বলা ঠিক হবে না। নিশ্চয় বাংলাদেশের জন্য ভালো হবেই।’
এরশাদ বলেন, সামরিক চুক্তির বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাই না। এর ডিটেইলসটা আমি জানিও না। ভাসাভাসি এসেছে। ডিটেইলস না জানা পর্যন্ত আমি বলতে পারবো না। সামরিক চুক্তির ফলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, নাকি লাভবান হয়েছি।
আজ শনিবার বেলা ১২টায় রংপুর মহানগরীর পল্লী নিবাসে সাংবাদিকদের সাথ আলাপাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রেসিডিয়াম সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত মেজর খালেদ, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, মহানগর সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সেক্রেটারী এসএম ইয়াসির, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাফিউল ইসলাম শাফি, সাবেক কাউন্সিলর আজমল হোসেন লেবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিস্তা পানি চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন, ওনি কথা দিয়েছেন ওটা করবেন। উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনে জেতার পর ওনার শক্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ওনি বলেছেন হাসিনা ক্ষমতায় থাকার মধ্যে ওইটা হবে। আমিও বিশ্বাস করি ওটা হবে। হয়তো কোন কারনে করতে পারেন নি। কিন্তু হবে।
অন্য নদীর পানি প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, সেটা আমরা গ্রহণও করি না, বিশ্বাসও করি না। এটা বাংলাদেশ কখনও মেনে নিবে না। অন্য নদীর পানি প্রসঙ্গে কোনো আলোচনাও হবে না।
বিএনপি প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, বিএনপি ইলেকশন করতে বাধ্য, তা নাহলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে। ইলেকশন তাদের করতেই হবে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র মনোনয়ন প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, মোস্তফাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এবার দলীয় প্রতিকে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় কোনো প্রশ্ন নেই। জাতীয় পার্টির আরেক প্রার্থী মানিকের ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার তো উনি পার্টিতেও নেই। একটিভিটিও নেই। ওনি আমার সাথে কমফ্লিক্ট করবে কিভাবে। মোস্তফাকে দেয়া হয়েছে। মোস্তফা জিতবে ইনশাল্লাহ।
সুপ্রিম কোর্টের সামনের মূর্তি প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সামনের এই মুর্তিটা আমাদের ইসলামী সেন্টিমেটে আঘাত করেছে। প্রধানমন্ত্রী এটা বলছেন। গ্রীক মুর্তি হলে শাড়ি পড়া কেন। ওটা গ্রীক মূর্তি হতে পারে না। সেজন্য ওনি (প্রধানমন্ত্রী) মনে করেন, ওখানে এটা ঠিক হয়নি। আগে তো আমাদের দাঁড়িপাল্লা ছিলই। তাই উনি (প্রধানমন্ত্রী) ওটা মনে করেছেন। আমার মনে হয়ে ওটা সরে যাবে। আমাদের ইসলামী দলগুলো ওয়ার্নিং দিয়েছে, না সরালে তারা আন্দোলন করবে। পৃথিবীর কোনো দেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে এ ধরনের কোনো মূর্তি নেই।
৫ দিনের সফরে এরশাদ শনিবার বিমানযোগে রংপুর আসেন। সফরকালে তিনি বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেবেন।