Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

17kখােলা বাজার২৪।। রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৭: ব্রিকস ব্যাংক নামে পরিচিত নিউ ডেভলেপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) সদস্য করতে যে ১৫টি দেশের তালিকা করছে, তাতে বাংলাদেশও স্থান পাবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেছেন, “এনডিবি ব্যাংকের উদ্যোক্তারা ১৫টি দেশের লিস্ট করছে। আমার আশা, বাংলাদেশ ১৫টি দেশের একটি হবে।”

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্ব ব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠক চলাকালে এনিডিবির প্রেসিডেন্ট কুন্ডাপুর ভামান কামাথের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন মুহিত।

মুহিত বলেন, “এনডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভালো বৈঠক হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের ব্যাপারে পজিটিভ মনোভাব দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তারা ১৫টি দেশ নিয়ে একটি লিস্ট করছেন। বাংলাদেশকে সেই লিস্টে রাখার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন।”

বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও ব্রিকস ব্যাংকে যোগ দিতে ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়েছেন মুহিত।

২০১৫ সালের ২১ জুলাই ব্রিকস ব্যাংক নামে পরিচিত নিউ ডেভলেপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) যাত্রা শুরু হয়েছে।

চীনের বাণিজ্যিক রাজধানী সাংহাইয়ে ব্যাংকটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।

চীনের নেতৃত্বে এশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাংক (এআইআইবি) প্রতিষ্ঠার পর এনডিবির যাত্রা শুরু হয়। ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাংক আইসিআইসিআইয়ের সাবেক নির্বাহী কে ভি কামাথ এনডিবির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রাথমিকভাবে এনডিবির ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল থাকছে। ব্রিকসের পাঁচ সদস্য দেশ সমানভাবে এখানে অর্থ দিচ্ছে এবং প্রতিটি দেশেরই সমান ভোটাধিকার রয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তহবিল ১০০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এর বাইরে আরও ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থের একটি রিজার্ভ কারেন্সি পুল গড়ে তোলা হবে। চীন ৪১ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে; ব্রাজিল, ভারত ও রাশিয়া ১৮ বিলিয়ন ডলার করে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ বিলিয়ন ডলার দিবে।

আইএমএফ-বিশ্ব ব্যাংকের বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে আছেন গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম ও বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশের বিকল্প পরিচালক মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

শুক্রবার বৈঠকের দ্বিতীয় দিনেও ব্যস্ত সময় কাটান অর্থমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।