খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৭: চর্মরোগ থেকে শুরু করে নানা ধরনের রোগে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহারে রোগী অনেক দ্রুত আরাম পায় বলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দ্বিতীয় বার একই রোগে আক্রান্ত হলে রোগী আবার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন স্টেরয়েড ব্যবহার করলে দেখা যায়, ওষুধে আর কাজ হচ্ছে না। একই সঙ্গে দেহে দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলে জ্বর থেকে শুরু করে শরীর ব্যথার জন্য শসার বিচির মতো দেখতে এক ধরনের সাদা বড়ি খুব বিক্রি হয়। অনেকেই জানেন না যে, এটাও এক ধরনের স্টেরয়েড। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত মোটা হওয়ার ওষুধ, ব্যথা কমানোর টোটকা ইত্যাদিতেও রয়েছে স্টেরয়েড। স্টেরয়েডের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহারের ফলে মারাত্মক এমনকি প্রাণঘাতী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে।
করটিসন, হাইড্রোকরটিসন, প্রেডনিসলন, ডেক্সামিথাসন ইত্যাদি নামে স্টেরয়েড ট্যাবলেট, ক্রিম, অয়েন্টমেন্ট, ইনজেকশন, স্প্রে, ইনহেলার বাজারে রয়েছে। দীর্ঘ দিন এই ওষুধ ব্যবহারের ফলে দেখা দেয় নানা ধরনের উপসর্গ যেমন-অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়া, মুখ, গলা, ঘাড়, বুজে-পেটে চর্বি জমা, পেশির দুর্বলতা, দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, অস্টিওপোরোসিস ইত্যাদি। এ ছাড়া বাহ্যিক ব্যবহারে ত্বক পাতলা হয়ে যায়, ব্রণ হয়, চুল পড়া বেড়ে যায়। মুখে বা শরীরে অবাঞ্চিত লোম বৃদ্ধি পায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, স্টেরয়েড ওষুধ সেবন করার কারণে দেহের স্বাভাবিক স্টেরয়েড হরমোন নিঃসরণের ছন্দপতন ঘটে। তাই হঠাত্ ওষুধ ছেড়ে দিলে বা ভুলে গেলে বমি, দুর্বলতা, পেট ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তাই চিকিৎসকের কাছ থেকে এর মাত্রা ও সেবনের মেয়াদ জেনে নিতে হবে। ওষুধ সেবনের সময় কোনো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। দীর্ঘ দিন স্টেরয়েড সেবন করলে, ধাপে ধাপে চিকিত্সকের পরামর্শ মতো ওষুধ কমিয়ে আনতে হবে।