খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০১৭: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘নতুন পদ্ধতিতে সঠিকভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করায় ফলাফলে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। হঠাৎ করে শুনলে (পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমে যাওয়া) কেউ বিস্মিত হতে পারে। কিন্তু আমরা বিস্মিত হইনি।’
৪ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়ার পরে এ সব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুত ছিলাম যে, সেই রকম মূল্যায়ন করি যদি তবে অনেকে ফাঁকি দিতে পারবেন না। সব পরীক্ষক যাতে সঠিকভাবে খাতা দেখেন, সঠিক নম্বর দেন, এবার সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এবার একটা মান ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী পরীক্ষকেরা খাতা দেখেছেন। অনুমান করে নম্বর দেওয়ার, নম্বর কম বা বেশি দেওয়ার সুযোগ ছিল না।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা ফেল করবে বিশ্বাস করা যায় না। একটু মনযোগী হলে তারা ভালো ফল করবে।
এবারের ফলে দেখা যায়, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। এবার ছেলেদের পাসের হার ৭৯.৯৩ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৮০. ৭৮ শতাংশ। অর্থ্যাৎ পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা দশমিক ৮৫ শতাংশ এগিয়ে। এ বছর ১০ বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬২ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ চার হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২ মার্চ পর্যন্ত। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ মার্চ।
এ বছর ১০টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন।
গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ও ছাত্রী ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন। নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৭ হাজার ১২৪ জন।
এছাড়া অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ জন এবং বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৮ জন।