খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭: রাজধানীর মতিঝিল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া চার জঙ্গি জিহাদে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ বি এম সোহেল-উদ-দৌলা ওরফে সোহেল তাদের মধ্যে সমন্বয় করেন। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক।
সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ তথ্য জানান মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সোহেলসহ চারজনই জিহাদের প্রশিক্ষণ নিতে আফগানিস্তানে যেত। সেখান থেকে পরে সিরিয়ায় গিয়ে আল কায়েদার সহযোগী সংগঠন জামাত-আল-নুসরায় যোগ দিয়ে জিহাদ করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যে তারা ভারত, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার ভিসার আবেদন করেছে। এসব কাজ করেছে সোহেল।’
গোয়েন্দারা বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দাওয়াত শাখার সদস্য। ২০১৪ সালে পলাতক জঙ্গি হাসান ওরফে রেজার মাধ্যমে তারা জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়। দুটি অ্যাপসের মাধ্যমে তারা যোগাযোগ করত।
মনিরুল ইসলাম আরো জানান, ব্লগার হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গেও তারা জড়িত। সোহেল আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তার সঙ্গে নব্য জেএমবির পলাতক শীর্ষ নেতাদের যোগাযোগ আছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মেজর জিয়ার সঙ্গে তার যোগাযোগ থাকতে পারে বলে ব্লগার হত্যার তদন্ত কর্মকর্তারাও সন্দেহ করছেন। তিনি ইতিমধ্যেই জিহাদের কথা বলে কয়েকজনকে আফগানিস্তানে পাঠিয়েছেন। এরকম আর কাউকে পাঠানোর পরিকল্পনা সোহেলের ছিল কি না তা জানার চেষ্টা করা হবে।
সোহেলকে গোয়েন্দাদের পাশপাশি র্যাবও খুঁজছিল বলে জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
সোমবার বিকেলে তিনি বলেন, ‘মার্চ মাসে মিরপুর থেকে বুয়েটের দুজন শিক্ষকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময়ই সোহেলের নামে আসে। কিন্তু তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। তবে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত ছিল।’
রোববার সন্ধ্যায় মতিঝিল থেকে সোহেল, আহাদুল ইসলাম সাগর, জগলুল হক মিঠু এবং তোয়াসিন রহমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, নোটবুক, মোবাইল ফোন ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
সূত্র: রাইজিংবিডি