খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার , ১১ মে, ২০১৭: প্রধানমন্ত্রীর ‘একক নির্বাহী ক্ষমতা’ দেশে ‘একনায়কতান্ত্রিক শাসনের’ জন্ম দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতায় ভারসাম্য আনবে।
বুধবার বিকালে ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কীভাবে দেশ পরিচালনা করবে- তার রূপকল্প ‘ভিশন ২০৩০’ দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন।
বিকাল সাড়ে ৪টায় গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনের বলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন শুরুর কথা থাকলেও তা শুরু হয় ২৫ মিনিট দেরিতে। বেশ কিছু কর্মীকে এ সময় হুড়োহুড়ি করে বলরুমে ঢুকতে দেখা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, “গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়ন শ্রেয় এই ধারণা নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করবে।”
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে ‘বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক বিধান’ যুক্ত করা হয়েছে, সেগুলো সংস্কার করার অঙ্গীকারের কথাও বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংশোধন করে গণভোট ব্যবস্থা পুনপ্রবর্তন করবে এবং জাতীয় সংসদকে সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করবে। ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে জাতীয় সংসদে প্রতিষ্ঠা করবে উচ্চ কক্ষ।
“বিএনপি জণগণের হাতেই রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে চায়। আমরা ওয়ান ডে ডেমোক্রেসিতে বিশ্বাসী নই। জনগণের ক্ষমতাকে কেবল ভোট দেওয়ার দিনে আবদ্ধ রাখতে চাই না।”
২০০৬ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর দুই দফায় সরকারবিরোধী আন্দোলনে গিয়েও সাফল্য পায়নি খালেদার দল। দশম জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি এখন সংসদের বাইরে।
স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে পরাজয়ের দায় সরকারকে দিলেও বিভিন্ন সময়ে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে আক্ষেপ শোনা গেছে জ্যেষ্ঠ নেতাদের কথায়।
২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে প্রথম এই ‘ভিশন ২০৩০’ এর রূপরেখা দেন ১৯৯১-১৯৯৬ ও ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা খালেদা জিয়া।