খােলা বাজার২৪।। সোমবার , ১৫ মে, ২০১৭: বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের ইকোনমিক জোনে সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সর্বোচ্চ সংরক্ষণের স্বার্থে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করে সরকারের গেজেট বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই রায় দেন। ফলে গেজেট অনুসারে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের ইকোনমিক জোনে নির্ধারিত ওই ৬৫ দিন এখন থেকে আর মাছ আহরণ করা যাবে না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের ইকোনমিক জোনে সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সর্বোচ্চ সংরক্ষণের স্বার্থে ২০১৫ সালের ২০ মে মেরিন ফিশারিজ অর্ডিন্যান্স-এর ৫৫ ধারায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি গেজেট জারি করে। গেজেটে প্রত্যেক বছরের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন ইকোনোমিক জোনে মাছ ও চিংড়ি আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়।
পরে ওই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওই বছরের ৯ জুলাই হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ওইদিন হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি গেজেটের কার্যকারিত স্থগিত করে দেন। সোমবার ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সরকারের গেজেট বহালের রায় দেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।
আদেশের পর মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বের সমুদ্র উপকুলবর্তী বিভিন্ন দেশে সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুমে দুই থেকে তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকে। ভারতেও প্রজনন মৌসুমে তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকে। মূলত মাছ সংরক্ষণের স্বার্থে আমাদের দেশেও প্রজনন মৌসুম বিবেচনায় ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে গেজেট জারি করেছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। হাইকোর্টের রায়ে ওই গেজেট বহাল হওয়ায় এখন থেকে নির্ধারিত ওই সময়ে আর বঙ্গোপসাগরের ইকোনমিক জোনে মাছ ধরা যাবে না।