Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

1494906087

 

 

খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার , ১৬ মে, ২০১৭:  কামরুল হাসান ঠাকুরগাঁও জলো প্রতনিধিি ঃঠাকুরগাঁও শহরে রাত ১২টার পর প্রায় সকল ওষুধরে দোকান বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ কোন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে বপিাকে পড়নে। রববিার রাত আড়াইটার দকিে ঠাকুরগাঁও আধুনকি সদর হাসপাতালে দ্রুত একটি অটো রক্সিা প্রবশে করে জরুরি বভিাগে গলে। অটো রক্সিার মধ্যে কান্নার আওয়াজ শুনতে পয়েে আমাদরে প্রতনিধিি হাসপাতালে প্রবশে করলনে।

রোগীর স্বজন কাদরে জানালনে, আমার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জলোর সীমান্তর্বতী উপজলোর বালয়িাডাঙ্গী উপজলো লাহড়িী পয়িাজুপাড়া গ্রামে রাতে হঠাৎ মা বমি করতে করতে জ্ঞান হারয়িে ফলে প্রথমে বালয়িাডাঙ্গী উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লক্সেে নয়িে আছ।ি কন্তিু সখোনে জরুরি বভিাগে ডাক্তার ও কোন লোককে না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অটো রক্সিা করইে ঠাকুরগাঁও আধুনকি সদর হাসপাতালে র্ভতি করায়।

র্কতব্যরত চকিৎিসক রোগীর প্রাথমকি চকিৎিসার জন্য ইনজকেশন, স্যালাইন ও ঔষ্ধু লখিে দলিনে। হাসপাতালে থকেে স্যালাইন সরবরাহ করা হলওে ওষুধ ও ইনজকেশন কনোর জন্য কাদরে ওষুধরে দোকানরে দকিে রওনা দলিনে। আমওি (প্রতনিধি)ি হাসপাতালে সামনে গয়িে দখেি সকল ওষুধরে দোকান বন্ধ। এতে বপিাকে পড়নে কাদরে। ওষুধ ও ইনজকেশন পাওয়া না গলেে মাকে বাঁচানো কঠনি হয়ে পড়ব।ে

কাদরেকে ফোনে বারবার জানানো হচ্ছে ওদকিে রোগীর অবস্থা গুরুতর। তাড়াতাড়ি ইনজশেন ও ওষুধ না আসলে রোগীকে বাঁচানো কঠনি হয়ে পড়ব।ে হঠাৎ হাসপাতালরে সামনরে এক গলতিে চোখে পড়লো লুবনা র্ফামসেী নামে একটি ওষ্ধুরে দোকান। সাইনর্বোডে লখো আছে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাক।ে লখোটি ও দোকান খোলা দখেে অনকে শক্তি পলেনে কাদরে।

ডাক্তাররে দওেয়া মত সকল ওষুধ ও ইনজকেশন পাওয়া গলে দোকান।ে ওষুধ কনিে দোকান মালকিকে ধন্যবাদ জানয়িছেে চলনে গলেনে কাদরে। এই প্রতনিধিরি খুব জানতে ইচ্ছে হলো দোকান মালকি কামরুল হাসানরে কাছে হাসপাতালরে ও শহরে যখন শতাধকি ওষুধরে দোকান বন্ধ তখন আপনি কি লাভরে আশায় দোকান খোলা রখেছেনে নাক।ি

পাল্টা জবাবে কামরুল হাসান বলনে, দোকান, ব্যবসা তো মানুষ লোকসানরে জন্য করে না। কস্তিু আমার দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার কারণরে পছেনে একটা গল্প আছ।ে সইে গল্প জানতে চাইলে তনিি বলনে, ২০০২ইং সালরে ঘটনা। সকলরে মত আমওি রাত ১২টার পর দোকান বন্ধ করে দইে। হাসপাতলে এক জরুরি রোগী আসলে একটি ইনজকেশন কনোর জন্য হন্যে হয়ে খুঁজতে থাক।ে সইে ইনজকেশন তখন আমার দোকানে ছলি না। পাশে এক দোকানে ইনজকেশনটি ছলি। তখন ওই দোকান সব মাত্র বন্ধ করছলি। ওই রোগীর স্বজনরে আকুতি শুনওে দোকান মালকি ইনজকেশনটি দয়েন।ি পরে জরুরি বভিাগে গয়িে দখেে সময় মত ইনজকেশনটি না পয়েে রোগীটি মারা যায় । খুবই কষ্ট পয়েছেলিাম রোগীর স্বজনদরে সাথে আমওি চোখরে পানি ধরে রাখতে পারি নাই। তারপররে দনি থকেইে মনে করলাম ” ব্যবসা মানে শুধু টাকা নয় সবোও’ মানুষ তো সমাজে বভিন্নি মাধ্যমে সবো করে থাক।ে আমি না হয় রাত জগেে অসহায় রোগীদরে ওষুধ বক্রিি করে ওকটু হলওে সবো প্রদান কর।ি তাই র্দীঘ ১৬ বছর যাবত ২৪ ঘণ্টা ওষুধরে দোকান খুলে রখেে অসুস্থ মানুষরে সবো করার চষ্টো করছ।ি কোন দনি রাতে বক্রিি হয়, আবার কখনো সারা রাতওে বক্রিি হয় না। কন্তিু রাতে র্কমচারি ,কারন্টে বলি সহ নাইট গাটরে বতেন ঠকিই দওেয়া লাগে ।

অনকে অসহায় রোগী হাসপাতালে আসলো রোগীর সুস্থতার কারনে বাকতিওে ওষুধ দওেয়া লাগ।ে অনকেে পরশিোধ করনে আবার অনকেে সুস্থ হয়ে টাকা না দয়িইে চলে যায় বলে কামরুল অভযিোগ করনে।

রাতরে বলোয় ওষুধরে দাম বশেি নয়ে এমন প্রশ্ন করলে জবারে জানান, রাতরে বলোয় যদি ওষুধরে দাম যদি বশেি নওেয়া হত। তাহলে তো বশেরি ভাগ দোকান লাভরে আশায় রাতইে খোলা রাখতো। মানুষ নানা কথা বলতে পারে কন্তিু আমি মানবতার সবোই দোকান খোলা রাখা চষ্টো কর।ি ওষুধরে অভাবে কোন রোগী যনে মৃত্যুবরণ না করে সে কারণ।ে শহরে আরো কয়কেটি ওষুধ দোকান খোলা থাকলে অনকেইে জরুরি প্রয়োজনে ওষুধ কনিতে পারবে বলে অভমিত প্রকাশ করনে।

শকররে হাজীপাড়া থকেে ওষুধ নতিে জীবন হক জানান, শহরে একমাত্র লুবনা র্ফামসেি ২৪ ঘণ্টা খোলা পাওয়া যায়। হঠাৎ বোনরে গ্যাসরে সমস্যা তাই ওষুধ নতিে এসছে।ি আমরা শহররে মান্ষু কামরুল ভাইয়রে দোকানে মত আরো কয়কেটি দোকান খোলা থাকলে তাহলে জরুরি ভাবে মানুষ ওষুধ পয়েে রোগ নরিাময় করতে পারব।ে

কামরুলরে সাথে কথোপকথনরে সাথে হাসপাতালে র্ভতি কাদরে’র মা ইনজকেশন ওষুধ খয়েে কছিুটা সুস্থ, তাই ধন্যবাদ দতিে এসে বলনে, ভাই আপনার দোকান খোলা না থাকলে মা’কে নয়িে অনকে বপিদে পড়তে হত। আল্লাহ আপনার মঙ্গল কামনা করুক বলে চলে জান।

ঠাকুরগাঁও আধুনকি সদর হাসপাতালরে শশিু ওর্য়াডে র্কতব্যরত চকিৎিসক ডা: শাহ জাহান নওেয়াজ জানান, রাতে বশেরি ভাগ শশিু রোগীর র্ভতরি সংখ্যায় বশেি হয়। শহররে প্রায় শত ভাগ ওষুধে দোকান বন্ধ থাকে রোগীদরে স্বজনদরে কাছে শুনছেি কামরুলরে লুবনা র্ফামসেি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে তারা সখোন থকেে ওষুধ সংগ্রহ করে থাকনে। ডাক্তারদরে মত এটাও একটি মহৎ সবো বলে মনে করছ।ি

মরিাজুল ইসলাম নামে এক রোগীর স্বজন জানান, ঢাকায় প্রাইভটে হাসপাতালগুলোতে নজিস্ব র্ফামসেি আছ।ে প্রতটিি সরকারি হাসপাতালে যদি সইে রকম ব্যবস্থা করে তাহলো রাতরে বলোয় রোগীর প্রয়োজনীয় ওষুধরে বষিয়টা লাঘব হব।ে সজেন্য সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়রে প্রতি দৃষ্টি কামনা করছ।ি

ঠাকুরগাঁও জলো কমেষ্টি ও ড্রাগষ্টি কমটিরি সভাপতি আজজিুল হক জানান, সারা দনি ব্যবসা করবার পর রাতে র্কমচারীরা দোকানে থাকতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে দোকান বন্ধ করে অনকে।ে কামরুলরে লুবনা র্ফামসেি ২৪ ঘণ্টা খোলা অসহায় ও সাধারণ মানুষরে সবো প্রদান করা আসলইে দৃষ্টান্ত। আমরা নর্বিাহী কমটিতিে আলোচনা করে আরো কয়কেটি দোকান খোলার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

উল্লখ্যে, ঠাকুরগাঁও আধুনকি সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যা বশিষ্টি হলওে পঞ্চগড়, নীলফামীর জলোয় কয়কেটি উপজলোর রোগীরা এখানে চকিৎিসা নতিে আসনে। প্রতদিনি প্রায় দু’ থকেে আড়াই শত রোগী র্ভতি থাকনে। র্পযাপ্ত ডাক্তার, র্নাস ও জনবল না থাকায় চকিৎিসা সবো দতিে বগে পতেে হচ্ছে রোগীদরে। এছাড়া আধুনকি সদর হাসপাতালরে অসহায় রোগীদরে পক্ষে প্রাইভটে ক্লনিকিে সবো দতিে সার্মথ্য হয়ে উঠছে না। তাই সংকট নরিসনে সরকাররে সাহায্য আহবান জানয়িছেনে ভুক্তভোগীরা।