Mon. Sep 15th, 2025
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭:  62চাপের মুখে ভাস্কর্য সরানোর সিদ্ধান্তকে সুশাসনের অন্তরায় বলে মনে করছেন, সমাজের বিশিষ্টজনরা। তারা বলছেন, সিদ্ধান্তটি অযৌক্তিক। আপোষের এ মনোভাব কখনো আপোষহীন সমাজ গড়তে পারে না। এতে থমকে যাবে, স্বাধীন বাংলাদেশের সংস্কৃতির গতিপথ।
প্রতিকী অর্থে ভাস্কর্যটি ন্যায়ের প্রতিমূর্তি, সুপ্রীম কোর্টের সামনে এতোদিন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকলেও, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অপসারণ করা হয় ভাস্কর্যটি। চোখ বাঁধা থাকায়, হয়তোবা ঠোঁটেও ছিলোনা প্রতিবাদের কোনো ভাষা।
যদিও, এই অন্যায়ের প্রতিবাদে ন্যায়ের ভাস্কর্য হয়ে উঠে প্রজন্ম থেকে শুরু করে দেশের হাজারো মানুষ। স্লোগান, মিছিলে কণ্ঠ মিলিয়েছেন সমাজের বিশষ্টজনেরা ছাড়াও সংস্কৃতিকর্মীরা।
এই বিষয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, পৃথিবীর সমস্ত মুসলমান দেশে এই ভাস্কর্য আছে। এটি ইসলাম বিরোধীও নয় এটি আমাদের সামাজ সংস্কৃতির বিরোধীও নয়।
তিনি বলেন, আজকে যদি সৌদি, ইরানসহ ইসমালের সকল রাষ্ট্রে ভাস্কর্য থাকতে পারে তাহলে বাংলাদেশে কেনো থাকবে না ?
এদিকে একই বিষয়ে ভাষা সৈনিক আহমেদ রফিক বলেন, এটাতো একটা অসংগতি স্ববিরোধীতা। আমরা যদি আধুনিকতার চিন্তায় বিশ্বাস করি এবং সেই মূল্যবোধে বিশ্বাস করি। তাহলে এই শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এই ধরণের রক্ষণশীলতাকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত না বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, আপোষের এ মনোভাব কখনো আপোষহীন সমাজ গড়তে পারেনা। এতে দেশের সংস্কৃতি যখন প্রজন্মের সুরে বিকশিত হচ্ছে। তাছাড়া যখন আধুনিকায়ন আর উন্নয়নের ঝান্ডা তুলে ধরছে, তখন সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভীষণরকম অযৌক্তিক।
ভাষা সৈনিক আহমেদ রফিক বলেন, আজকের ভাস্কর্যে যদি সরানো হয় মুর্তর অপবাদ দিয়ে যেটা আদউ সঠিক নয়। তাহলে কদিন বাদেতো অপরাজেয় বাংলা, রাজু ভাস্কর্য সরানোরও হুমকি আসবে।
তাই সিদ্ধান্ত যদি হয় ভোটের রাজনীতির, তবে মৌলবাদের এমন চোখ রাঙ্গানোতে বার বার থমকে দাঁড়াবে স্বাধীন বাংলাদেশের সংস্কৃতির গতিপথ।